অন্ধ্র প্রদেশের করিভেমুলা এলাকার ঘটনা। জানা গিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দা নরসিমহুলু কৃষ্ণ রেড্ডির একটি পুরনো বাড়ি কিনেছিলেন। সেই বাড়ি ভেঙে নতুন বাড়ি তৈরির জন্য পুরনো অংশ ভেঙে ফেলার কাজ শুরু করেন তিনি।
ভাঙাভাঙি চলার সময়ই বাড়ির ভিত থেকে একটি বহু পুরনো সিন্দুক উদ্ধার করেন কর্তব্যরত শ্রমিকেরা। সেই সিন্দুক এতই ভারী ছিল যে নরসিমহুলু এবং অন্য কর্মচারীরা মিলে তা বের করতে পারেননি। নিয়ে আসা হয় ট্র্যাক্টর। তবে ততক্ষণে গোটা গ্রামে খবর চাউর হয়ে গিয়েছে। বাড়ির বাইরে জমে গিয়েছে ভিড়। কী রয়েছে ওই সিন্দুকে তা জানতেই উৎসাহী গোটা গ্রাম।
advertisement
অন্ধ্রপ্রদেশের কুরনুল জেলার করিভেমুলা গ্রামে পাওয়া ওই বিশাল সিন্দুক দেখে এলাকার বাসিন্দাদের খুশি আর ধরে না। শুরু হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে সিন্দুকটির ওজন প্রায় ৪০০ কিলোগ্রাম। তবে ভিড় জমতেই পরিবারের লোকজন পুলিশে খবর দেন।
খননকালে পাওয়া এই রহস্যময় সিন্দুক খুলতে রাজস্ব দফতরের আধিকারিক ও পুলিশের একটি দল আসে। সেখানে তাঁরা গ্যাস কাটার দিয়ে এই বাক্সের তালা খুলে দেন। বাক্সের তালা খোলার পর তাতে রাখা জিনিসপত্র খতিয়ে দেখা হয়।
কিন্তু হতাশা ছাড়া প্রায় আর কিছুই বেরোয়নি ওই বাক্স থেকে। তালা ভাঙতেই দেখা যায় ওই বাক্সে রয়েছে ঠাসা আবর্জনা, কাগজ, বালি, লোহা ও স্টিলের টুকরো। এমন কাণ্ড দেখে ধীরে ধীরে ভিড় হালকা হয়ে যায় নরসিমহুলুর বাড়ির সামনে থেকে। হতাশ নরসিমহুলুও।
এদিকে রাজস্ব দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন, সিন্দুকে পাওয়া সব নথিই অবৈধ। কবেকার নথিপত্র তা খতিয়ে দেখা হবে।
গ্রামের এক বাসিন্দার গলায়ঝরে পড়েছে হতাশা, ‘কোথায় ভাবলাম মোহর-টোহর থাকবে। এ তো আবর্জনা। কে ভরে রেখেছিল কে জানে!’