পুলিশের কাছে রাজু অভিযোগ করেন যে শুক্রবার দুপুরে তাঁর স্ত্রী জামাকাপড় ও সবজি কেনার নামে বাড়ি থেকে বার হন৷ দীর্ঘ ক্ষণ তিনি না ফেরার পর পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান রাজু৷ তাঁর অভিযোগ ছিল মোষ বিক্রি করে যে টাকা তিনি পেয়েছিলেন সেটা নিয়ে ভিক্ষাজীবী নানহে পণ্ডিতের সঙ্গে পালিয়েছেন তাঁর স্ত্রী৷ রাজুর দাবি, পড়শিদের কাছ থেকে তিনি জানতে পারেন যে, নানহে-এর সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর বিশেষ সম্পর্ক আছে। ভিক্ষা দেওয়া এবং নেওয়ার অছিলায় অনেকেই তাঁদের দু’জনকে কথা বলতে দেখেছিলেন বলে প্রতিবেশীদের দাবি। শুধু তা-ই নয়, ফোনেও দু’জনের মধ্যে কথা হত বলে জানতে পারেন রাজু। তবে ভিখারি নানহের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়েছে, তা একদমই আঁচ করতে পারেননি বলে দাবি রাজুর। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৮৭ নম্বর ধারায় নারী অপহরণের মামলা রুজু করা হয়৷
advertisement
আরও পড়ুন : বক্স খাটের ভিতর থেকে উদ্ধার তরুণী স্পা-কর্মীর ফিতে জড়ানো দেহ! সন্দেহ পরকীয়ার! গ্রেফতার স্বামী
এর পরই গল্পে ট্যুইস্ট৷ মঙ্গলবার ফিরে আসেন রাজেশ্বরী৷ তিনি পুলিশের কাছে জানান যে কোনও ভিক্ষুকের সঙ্গে তিনি পালাননি৷ বরং তিনি ঘর ছেড়েছিলেন তাঁর স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে৷ রাজেশ্বরীর অভিযোগ, কথায় কথায় তাঁকে গালিগালাজ এবং মারধর করতেন রাজু৷ সহ্য করতে না পেরে তিনি ফারুখাবাদে এক আত্মীয়ের বাড়িতে চলে যান৷ এই ঘটনায় পুলিশ জানিয়েছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে রাজুর অভিযোগ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন৷ তারা রাজেশ্বরীর অভিযোগের ভিত্তিতে এ বার এই মামলায় কড়া পদক্ষেপ করবে৷