বছর ৩৫-এর শায়জা একেবারে অন্য পথে হেঁটেছেন। হরমোনের তারতম্যের জন্য কৈশোর বয়স থেকেই শায়জার মোটা গোঁফ রয়েছে। আর সেই গোঁফে তা দিতেই ভালোবাসেন এই মেয়ে। কেরালা রাজ্যের কান্নুরের বাসিন্দা তিনি। কিশোরী বয়স থেকেই মুখে একেবারে মোটা গোঁফ গজায় তাঁর। কিন্তু একবারের জন্যও সেই গোঁফ কাটেননি তিনি। স্বাভাবিক ভাবেই বড় হতে দিয়েছেন। শায়জার বিয়েও হয়েছে। বহু সময় শায়জাকে ট্রোলড হতে হয়েছে নিজের কাছের মানুষ থেকে শুরু করে সোশ্যাল মাধ্যমে। কিন্তু নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেননি শায়জা।
advertisement
তিনি জানিয়েছেন, " আমি কখনই গোঁফ থ্রেডিং করাইনি। আমার মনে হয় না এই গোঁফের জন্য আমাকে সুন্দর দেখতে নয়। গোঁফ আমাকে আলাদা এক সৌন্দর্য এনে দিয়েছে। করোনা কালে আমার মাস্ক পরতে ভালো লাগত না। কারণ তখন আমার মুখ দেখা যেত না! আমি কখনই গোঁফ লুকোতে চাইনি। এটা একেবারেই স্বাভাবিক ঘটনা। লোকানোর কিছু নেই। এর জন্য সোশ্যাল মাধ্যমেও আমাকে নিয়ে ট্রোল করা হয়েছে। কিন্তু তাতে আমার কোনও সমস্যা নেই। যারা মানতে পারেন না তারাই ট্রোল করেন। এখন আমি পরিবার নিয়ে যথেষ্ট খুশি। এই গোঁফ নিয়েই আমি একদম স্বাভাবিক জীবন কাটাচ্ছি।"
শায়জার মনের জোর ও ভাবনাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন অনেকেই। ছকে বাঁধা মেয়েদের ইমেজকে ভেঙে বেরিয়ে এসেছেন তিনি। একটা গোঁফ মানুষের পরিচয় নয়। তবে শায়জার ক্ষেত্রে এই গোঁফই সব থেকে বড় পরিচয়। শায়জার এই সিদ্ধান্তকে সম্মান করেন তাঁর স্বামী এবং মেয়েও। সত্যিই সাহস আছে। যেখানে মেয়েরা সারাদিন নিজের রূপ নিয়ে নানা ভাবে সচেতন। শায়জাও সচেতন। কিন্তু গোঁফ বাদ দিয়ে নয়।
