বনতারা পরিদর্শনকালে মেসিকে কেন্দ্রের বিভিন্ন অংশ ঘুরিয়ে দেখানো হয়েছিল, যার মধ্যে ছিল বৃহৎ শ্বাপদ, তৃণভোজী এবং সরীসৃপদের জন্য এনক্লোজার। কেন্দ্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে তাঁকে উদ্ধার অভিযান, পশুচিকিৎসা প্রোটোকল এবং কঠিন বা নির্যাতনমূলক পরিস্থিতি থেকে বের করে আনা প্রাণীদের দীর্ঘমেয়াদী পুনর্বাসন প্রক্রিয়া সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছিল।
মেসি বন্যপ্রাণী হাসপাতালও পরিদর্শন করেন, যেখানে পশুচিকিৎসা দল আহত এবং উদ্ধার করা প্রাণীদের চিকিৎসা ও অস্ত্রোপচার পদ্ধতি প্রদর্শন করেন। এলিফ্যান্ট কেয়ার সেন্টারে মেসি মানিকলালের সঙ্গে দেখা করেন, কাঠ কাটার কাজ থেকে এই ছোট হাতি এবং তার মাকে উদ্ধার করে আনা হয়েছিল।
পরিদর্শনকালে মেসি অনন্ত আম্বানি এবং রাধিকা আম্বানির সঙ্গেও দেখা করেন। মেসি এবং সতীর্থরা সস্ত্রীক অনন্ত আম্বানির সঙ্গে মন্দিরের ‘মহা আরতি’-তে অংশ নেন, অম্বেমাতা, শ্রীগণেশ, শ্রীহনুমান এবং ভগবান শিবের আশীর্বাদ যাচনা করেন, বিশ্ব শান্তি ও ঐক্যের জন্য প্রার্থনা করেন। ব্যস্ততা সত্ত্বেও মেসির বনতারা সফর অনন্ত আম্বানির সঙ্গে তাঁর উষ্ণ বন্ধন এবং বন্ধুত্বকে তুলে ধরেছে, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের প্রতি তাঁদের যৌথ প্রতিশ্রুতিই এই সম্পর্কের ভিত।
আয়োজকরা তাঁকে বনতারার নেপথ্যের দৃষ্টিভঙ্গি এবং প্রাণী কল্যাণ, উদ্ধার এবং পুনর্বাসন সংক্রান্ত দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে অবহিত করেন। পরিদর্শনকালে একটি সিংহশাবকের নামকরণ করা হয়েছিল লিওনেল, মেসির উপস্থিতিকে সম্মান জানাতে এই নামকরণ।
“বনতারা যা করেছে, তা সত্যিই সুন্দর, প্রাণীদের জন্য কাজ, তাদের যত্ন, তাদের উদ্ধার এবং যত্ন নেওয়ার এই উদ্যোগ সত্যিই চিত্তাকর্ষক। আমরা একটি দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছি, পুরো সময় জুড়ে সম্পূর্ণ স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেছি এবং এটি এমন একটি অভিজ্ঞতা যা সারা জীবন সঙ্গে থাকবে থাকবে। এই অর্থপূর্ণ কাজকে অনুপ্রাণিত এবং সমর্থন করার জন্য আমরা অবশ্যই আবার আসব,” মেসি বলেন।
জামনগর জেলায় অবস্থিত বনতারা একটি বন্যপ্রাণী উদ্ধার, পুনর্বাসন এবং সংরক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে। এই কেন্দ্রে অবৈধ বন্দীদশা, নির্যাতন বা অনিরাপদ অবস্থা থেকে উদ্ধার করা প্রাণীদের রাখা হয় এবং চিকিৎসা, দীর্ঘমেয়াদী যত্ন এবং পুনর্বাসন পরিষেবা প্রদান করা হয়।
