আরও পড়ুনঃ ঘুম থেকে ওঠেই খালি পেটে ফল খাচ্ছেন? বড় বিপদের সংকেত! কী বলছেন বিশেষজ্ঞ জানুন
গাড়ির আরোহী দীপক জৈন এক্স (পূর্বে ট্যুইটার) প্ল্যাটফর্মে এই ঘটনার কথা ভাগ করে নিয়েছেন। তিনি জানান যে, গত ২ জুন সকাল ১১টা ৪০ মিনিট নাগাদ ভিবজিওর হাই স্কুল রোডে এই ঘটনাটি ঘটেছে। দীপক জৈন লিখেছেন, “আজ আমি এক ভয়ঙ্কর এবং অপ্ররোচিত এক ঘটনার সম্মুখীন হয়েছি। ঘটনার প্রায় ৯ ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পরেও আমার আতঙ্ক কাটছে না। মনে হচ্ছে এই হামলা পূর্বপরিকল্পিত।”
advertisement
ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়ে দীপক জৈন জানিয়েছেন যে, তাঁর গাড়ির বাম দিক দিয়ে আচমকাই ওভারটেক করেছিল একটি ধূসর রঙা ওলা স্কুটার। কয়েকশো মিটার চলার পরে তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে, স্কুটার-আরোহী তাঁকে অনুসরণ করছে। এমনকী চেঁচিয়ে তাঁকে গাড়ি দাঁড় করাতেও বলে সে। এরপর স্কুটার-আরোহী দীপকের গাড়ির পথ আটকে দাঁড়ায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই উত্তেজিত ওই অভিযুক্ত রাস্তার পাশ থেকে একটি ডাবের খোলা তুলে নেয় এবং দীপকের গাড়ির ডান দিকের জানলা লক্ষ্য করে সেটি ছুড়ে মারে। এমনকী দীপককে গাড়ির দরজা খোলার জন্য জোরাজুরি করতে থাকে এবং প্রচণ্ড রাগ-ক্ষোভে চিৎকার জুড়ে দেয় সে। সেই সঙ্গে দীপকের গাড়ির আউটার রিয়ারভিউ মিররটিও ভেঙে দেয় ওই হামলাকারী।
এখানেই শেষ নয়, এর আগেই ঘটে যাওয়া এক অস্বস্তিকর ঘটনার কথাও উল্লেখ করেছেন দীপক। তাঁর বক্তব্য, “এই ঘটনার প্রায় ৩০০ মিটার আগেই একটি ধূসর রঙা Renault Triber আমার গাড়ি আটকানোর চেষ্টা করছিল। ওই চালকদের সন্দেহজনক আচরণ দেখে আমার মনে হয়, এরা ওই একই চক্রের সঙ্গে যুক্ত।”
যদিও ঘটনার পরে সঙ্গে সঙ্গেই ভার্থুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন দীপক জৈন। তবে তাঁর সঙ্গে ঘটে যাওয়া এই ঘটনা ভাইরাল হতেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নেটাগরিকরা। একজনের মন্তব্য, “যেভাবে ওই লোকটা সঙ্গে সঙ্গে ডাবের খোলাটা তুলে নিল, তাতে মনে হচ্ছে যেন ও আগে থেকেই জানত যে, ডাবের খোলাটা ওখানেই রাখা থাকবে… নিশ্চিত ভাবে এটা পূর্ব-পরিকল্পিত…।”
আর এক নেটিজেনের বক্তব্য, “আপনি খুবই বুদ্ধিমান। কারণ নিজের গাড়িতে ড্যাশ ক্যামেরা লাগিয়েছেন। কর্নাটকে এই ধরনের ঘটনা খুবই সাধারণ। আর দেশের অন্যান্য প্রান্তেও এমন ঘটনা ক্রমেই বাড়ছে। এটা একটা বড়সড় চক্রের কাজ হতে পারে। যারা চুরি, ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত। শীঘ্রই যাতে তারা ধরা পড়ে, এখন সেটাই আশা।”