একদিন যখন তাঁরা দুজনেই একটি বন্ধ ঘরে থাকাকালীন, তখনই গ্রামবাসীরা হাতেনাতে তাঁদের ধরে ফেলেন। এর পর গ্রামবাসীরা যা করে, তা এখন আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। আসলে, এই পুরো বিষয়টি বিহারের জামুই জেলা থেকে প্রকাশ্যে এসেছে। সোনো ব্লক এলাকার খাপারিয়া গ্রামে, রাতের অন্ধকারে গ্রামবাসীরা এক প্রেমিক যুগলকে ধরে ফেলে। এর পর তাঁদের বেধড়ক মারধর করা হয়।
advertisement
মহিলা পুরনো প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতেন –
বিহারের জামুই জেলার সোনো ব্লক এলাকার খাপারিয়া গ্রামের বাসিন্দা ২৭ বছর বয়সি সানুজা খাতুনের বিয়ে হয়েছিল ২০১৮ সালে একই গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ আসগরের সঙ্গে। বিয়ের পর, আসগর মুম্বইয়ের একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কাজ করতে যান। ইতিমধ্যে, সানুজা আবার তাঁর পুরনো প্রেমিক ইখলাক আনসারির সঙ্গে যোগাযোগ করেন, যিনি ঝাজ্জা থানা এলাকার বৈজালপুরা গ্রামের বাসিন্দা।
আগে থেকেই একটা প্রেমের সম্পর্ক ছিল –
গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, বিয়ের আগে দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল, কিন্তু সানুজা খাতুনের বিয়ের পর তাঁদের মধ্যে দূরত্ব আরও বেড়ে যায়। কিন্তু, সানুজার স্বামী যখন মুম্বইয়ে টাকা রোজগার করতে যান, তাঁরা দুজনেই আবার দেখা করতে শুরু করেন এবং বিগত দুই বছর ধরে, তাঁদের মধ্যে ধারাবাহিকভাবে দেখা-সাক্ষাৎ চলছিল। ইখলাকও রাতের অন্ধকারে বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাড়িতে আসতেন।
আরও পড়ুন: সুন্দরী ভ্লগার জ্যোতি আলি হাসানকে লিখেছিলেন ‘পাকিস্তানে বিয়ে করব’! এই আলি কে জানেন? চাঞ্চল্যকর তথ্য
গ্রামবাসীরা হাতেনাতে ধরে ফেলেন –
সম্প্রতি যখন ইখলাক তাঁর বান্ধবী সানুজার বাড়িতে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পৌঁছন, তখন গ্রামবাসীরা সেই রাতেই তাঁদের হাতেনাতে ধরে ফেলেন এবং বেধড়ক মারধর করেন। এর পর, গ্রামে একটি পঞ্চায়েত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে ইখলাক এবং তাঁর বান্ধবী সানুজা এখন থেকে একসঙ্গেই থাকবেন। পঞ্চায়েতের সিদ্ধান্তের পর দু’জনকেই একসঙ্গে ইখলাকের বাড়িতে পাঠানো হয়।
ইখলাকও ইতিমধ্যেই বিবাহিত এবং তাঁর চারটি সন্তান রয়েছে। পঞ্চায়েতের এই সিদ্ধান্তের পর অবশ্য তাঁর স্ত্রী এতে কোনও আপত্তি তোলেননি। এর পর থেকে এই বিষয়টি সারা জেলায় আলোচনার বিষয়বস্তুতে পরিণত হয়েছে।