আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ ম্যানেজিং কমিটির যুগ্ম সম্পাদক এসএম ইয়াসিন গত সপ্তাহে জানিয়েছিলেন, কাউকে মসজিদে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। কিছু প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুসলিম পক্ষ জানিয়েছে ভিডিওগ্রাফি কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রাঙ্গণেই সীমাবদ্ধ থাকা উচিত এবং কোনও ‘অবিশ্বাসী’কে মসজিদে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন- স্বস্তি সাময়িক! আগামিকাল থেকেই ফের তাপপ্রবাহে জেরবার হবেন এই অঞ্চলের মানুষ!
advertisement
বিকেল ৩ টে নাগাদ এই পরিদর্শন শুরু হলে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির আশঙ্কা অনুমান করে জেলা প্রশাসন ইন্তেজামিয়া কমিটিকে বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করছে। কমিটির কর্মকর্তারা অবশ্য আশ্বস্ত করেছেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবেই’ এই পরিদর্শনের বিরোধিতা করবেন তাঁরা।
শৃঙ্গার গৌরী পুজো মামলায়, বারাণসীর সিভিল জজ (সিনিয়র ডিভিশন) রবি কুমার দিবাকরের আদালত ২৬ এপ্রিল অ্যাডভোকেট কমিশনারকে ইদের পরে এবং ১০ মে এর আগে কাশী বিশ্বনাথ-জ্ঞানবাপি মসজিদ চত্বর এবং শৃঙ্গার গৌরী মন্দিরের অন্যান্য স্থানে ভিডিওগ্রাফির নির্দেশ দিয়েছিলেন। আদালত জানিয়েছে, অ্যাডভোকেট কমিশনার ও বাদী বিবাদী পক্ষ ছাড়াও একজন সহযোগীও এই সমীক্ষা চলাকালীন উপস্থিত থাকতে পারবেন। অ্যাডভোকেট কমিশনার অজয় কুমার ৬ মে বিকেলে সমীক্ষা ও পরিদর্শন করবেন। রাখি সিং সহ অন্য চারজন আবেদনকারীদের আইনজীবী হলেন যাদব।
দিল্লির বাসিন্দা রাখি সিং, লক্ষ্মী দেবী, সীতা সাহু এবং অন্যান্যরা জ্ঞানভাপি মসজিদের বাইরের দেওয়ালে অবস্থিত শৃঙ্গার গৌরী, গণেশ, হনুমান এবং নন্দীর প্রতিদিনের পুজো এবং প্রার্থনার অনুষ্ঠানের অনুমতি চেয়ে মামলাটি দায়ের করেছিলেন ২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল। বিরোধীরা যাতে প্রতিমার কোনো ক্ষতি না করতে পারে সেজন্যও ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানিয়েছিলেন তাঁরা।
আরও পড়ুন- উত্তরপ্রদেশের সব গ্রাম এবার 'স্মার্ট ভিলেজ', বিনামূল্যে ওয়াইফাই দিতে তৎপর যোগী
হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অখিল ভারতীয় সন্ত সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বামী জিতেন্দ্রানন্দ সরস্বতী মা শৃঙ্গার গৌরী স্থলের সমীক্ষায় যাতে কোনো বাধা না পড়ে তা নিশ্চিত করার জন্য কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন। তিনি এসএম ইয়াসিনের বিরুদ্ধে ‘উস্কানিমূলক’ বক্তব্যের জন্য তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানিয়েছিলেন।