নির্বাচনী কলেজে ৭৮০ জন সাংসদ রয়েছেন, লোকসভায় ৫৪৩ জন এবং রাজ্যসভায় ২৪৫ জন। উচ্চকক্ষের আটটি শূন্য আসন এবং তৃণমূল কংগ্রেসের ৩৬ জন সাংসদ ভোটদানে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যার ফলে ৭৪৪ জন সাংসদ ভোট দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে৷ এনডিএর ৪৪১ জন সাংসদ রয়েছেন, যার মধ্যে বিজেপিরই হলেন ৩৯৪ জন। পাঁচজন মনোনীত সদস্যও এনডিএ প্রার্থীকেই সমর্থন করছেন।
advertisement
আরও পড়ুন- গত ৩০ বছরে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা! হড়পা বানে পাকিস্তানে মৃত ৫৫০ মানুষ
বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় এবং রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যেকার বিবাদ বারেবারেই দেশের সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনুমান ৫২৭ টি ভোট পেতে পারেন ধনখড়, যা জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ৩৭২ টি ভোটের চেয়ে অনেক বেশি৷ সব মিলিয়ে মোট ভোটের ৭০ শতাংশই যেতে পারে ধনখড়ের ঝুলিতে। যা প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি এম ভেঙ্কাইয়া নাইডুর প্রাপ্ত ভোটের চেয়েও দুই শতাংশ বেশি৷
জগদীপ ধনখড়কে অবশ্য সমর্থন জুগিয়েছে আরও বেশ কয়েকটি অ-এনডিএ দলও। নবীন পট্টনায়কের বিজু জনতা দল, জগনমোহন রেড্ডির ওয়াইএসআর কংগ্রেস, মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি, চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলেগু দেশম পার্টি, অকালি দল এবং শিবসেনার একনাথ শিন্ডের দল, যাঁদের মোট ৮১ জন সাংসদ রয়েছে, তাঁরা ধনখড়কেই সমর্থন করছেন নির্বাচনে।
আরও পড়ুন- 'সিদ্ধান্ত জানান', উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে শিশির-দিব্যেন্দুকে চিঠি তৃণমূলের
মার্গারেট আলভা পেতে পারেন ২৬ শতাংশ ভোট বা প্রায় ২০০ টি ভোট। কংগ্রেস, এমকে স্ট্যালিনের ডিএমকে, লালু যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দল, শরদ পাওয়ারের জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি এবং অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি ও বাম দলগুলির সমর্থন পেয়েছেন মার্গারেট। এছাড়াও, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি, আম আদমি পার্টি এবং শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠীর নয়জন সাংসদ মার্গারেট আলভাকে সমর্থন করছেন।
গত নির্বাচনে বিরোধী প্রার্থী গোপালকৃষ্ণ গান্ধি ৩২ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন। গত সন্ধ্যায় দিল্লিতে বিজেপি সাংসদের সঙ্গে একটি বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন ধনখড়। যেখানে ‘ডামি ভোটিং’ পরিচালিত হয়।