পূর্বের সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড রয়েছে কে আর নারায়ণনের। ১৯৯২ সালে প্রদত্ত ৭০১ টি ভোটের মধ্যে ৭০০টি ভোটই পেয়েছিলেন তিনি। এখনও সর্বোচ্চ জয়ের ব্যবধানে তালিকার শীর্ষে রয়েছেন তিনি। এই নির্বাচনে জগদীপ ধনখড়ের ভোট পাওয়ার হার ২০১৭ সালে ভেঙ্কাইয়া নাইডুর থেকেও ২ শতাংশ বেশি।
আরও পড়ুন- দেশের আদিবাসী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের জন্য জাদুঘর বানানো উচিত: প্রধানমন্ত্রী মোদি
advertisement
বিদায়ী উপরাষ্ট্রপতি এম ভেঙ্কাইয়া নাইডুর মেয়াদ শেষ হওয়ার একদিন পর অর্থাৎ আগামী ১১ অগাস্ট উপরাষ্ট্রপতি পদে শপথ নেবেন ৭১ বছর বয়সী জগদীপ ধনখড়। ২০০২ থেকে ২০০৭ সালে ভৈরোঁ সিং শেখাওয়াতের পরে তিনিই রাজস্থান থেকে দ্বিতীয় উপরাষ্ট্রপতি হবেন।
নির্বাচনী কলেজে ৭৮৮ জন সদস্য রয়েছে, কিন্তু রাজ্যসভায় আটটি আসন শূন্য থাকার কারণে প্রকৃত ভোট সংখ্যা ছিল ৭৮০। উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মোট ৭৮০ জন নির্বাচকের মধ্যে ৭২৫ জন ব্যালট জমা দিলেও ১৫ টি ভোট অবৈধ বলে প্রমাণিত হয়েছে।
আরও পড়ুন- 'আজাদিস্যাট' নিয়ে ওড়ার সময় বিপত্তি! নতুন রকেটের প্রথম উৎক্ষেপণেই সমস্যায় ইসরো
বিরোধী প্রার্থী হিসাবে মার্গারেট আলভার নাম প্রস্তাবের সময় তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও আলোচনাই হয়নি এই দাবিতে ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল তৃণমূল। তা সত্ত্বেও তৃণমূলের দুই সাংসদ শিশির কুমার অধিকারী এবং দিব্যেন্দু অধিকারী নিয়ম ভেঙে ভোট দিয়েছেন। লোকসভায় ২৩ জন সহ ৩৬ জন সাংসদ রয়েছে তৃণমূলের।
রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি থেকে লোকসভা স্পিকার পর্যন্ত সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছে বিজেপিরই প্রার্থী। বিজেপির বিশ্বাস, জগদীপ ধনখড়ের উত্থান জাঠ সম্প্রদায় এবং কৃষকদের মধ্যে দলের ভিত্তি বাড়াতে সাহায্য করবে। রাজ্যের ২০০ টি বিধানসভা আসনের মধ্যে প্রায় ৪০ টিতে এই সম্প্রদায়ের যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে যেখানে পরের বছর বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। “এটি অবশ্যই রাজস্থানের পাশাপাশি হরিয়ানায় দলীয় সমর্থন বাড়াতে সাহায্য করবে,” বলেন এক বিজেপি নেতা।