শ্রীনিবাসনের লেখার সবচেয়ে বড় শক্তি ছিল সততা। তীক্ষ্ণ রসবোধে ভর করে তিনি যে গল্প বলতেন, তা কখনও কেবল হাসির জন্য থামেনি—প্রতিটি দৃশ্যের পর দর্শককে ভাবতে বাধ্য করেছে। মধ্যবিত্তের টানাপড়েন, নৈতিক দ্বন্দ্ব, রাজনৈতিক ও সামাজিক অসামঞ্জস্য—সবই তাঁর কলমে উঠে এসেছে সহজ, কিন্তু গভীর ভাষায়। ফলে তিনি শুধু চলচ্চিত্রকার নন, সাধারণ মানুষের প্রতিনিধি হিসেবেও পরিচিতি পান।
advertisement
প্রধানমন্ত্রীর সভায় যোগ দিতে যাওয়ার পথে ভয়াবহ ঘটনা! ট্রেনের ধাক্কায় ছিন্নভিন্ন ৪ জীবন
মেসির ইভেন্টে বিশৃঙ্খলা হল কেন? শতদ্রু দত্তকে ইডির জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এল নতুন তথ্য!
অভিনেতা হিসেবে শ্রীনিবাসনের উপস্থিতি ছিল স্বতন্ত্র। অতিনাটকীয়তা ছাড়াই চরিত্রে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করতে পারতেন তিনি। কমেডি হোক বা সিরিয়াস ভূমিকা—প্রতিটি চরিত্রেই ছিল বাস্তবের ছাপ। পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার হিসেবে তিনি মালয়ালম সিনেমায় এমন এক ধারার জন্ম দেন, যেখানে হাস্যরস আর সামাজিক মন্তব্য একে অপরের পরিপূরক হয়ে উঠেছে।
দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি একাধিক জনপ্রিয় ও সমালোচক-স্বীকৃত ছবির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁর লেখা ও পরিচালিত বহু ছবি আজও প্রাসঙ্গিক, কারণ সেগুলি সময়ের সীমা ছাড়িয়ে মানুষের চিরন্তন সমস্যার কথা বলে। সমসাময়িক অনেক নির্মাতার কাছেই শ্রীনিবাসন ছিলেন পথপ্রদর্শক—যিনি দেখিয়েছিলেন, বাণিজ্যিক সাফল্য আর সামাজিক দায়বদ্ধতা একসঙ্গে চলতে পারে।
তাঁর প্রয়াণে শুধু একজন শিল্পীর অবসান নয়, শেষ হয়ে গেল এমন এক ধারারও—যেখানে হাসি ছিল অস্ত্র, আর চিন্তা ছিল লক্ষ্য। মালয়ালম সিনেমা ও দর্শকের মনে শ্রীনিবাসন চিরকাল থেকে যাবেন সেই মানুষটি হিসেবে, যিনি হাসাতে হাসাতে সত্যটা বলে দিতেন।
