সোমবার লোকসভায় জাতীয় গান বন্দে মাতরমের ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত বিশেষ বিতর্কে বা আলোচনায় যোগ দিয়ে প্রিয়ঙ্কা বলেন, ‘‘আমরা বন্দে মাতরম নিয়ে এই বিতর্ক কেন করছি? জাতীয় গান নিয়ে কী বিতর্ক থাকতে পারে?’’
advertisement
কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়ঙ্কার দাবি, এই বিতর্ক আসলে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত৷ তিনি বলেন, ‘‘আমাদের এই বিতর্কে শামিল হতে হচ্ছে, কারণ, সামনের বছর পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন৷’’
কড়া ভাষায় কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করে প্রিয়ঙ্কা দাবি করেন, সাধারণ মানুষ একাধিক সমস্যায় জর্জরিত, সে সব নিয়ে সরকার কোনও সমাধান ‘খুঁজে পাচ্ছে না’ বলে দাবি করেন প্রিয়ঙ্কা৷ অভিযোগ করেন, ‘‘আসলে যাঁরা দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছেন, এবং দেশের জন্য বলিদান দিয়েছেন, তাঁদের কাঠগড়ায় তুলতে চাইছে শাসকদল৷’’
প্রিয়ঙ্কার বক্তব্যের পরেই এ নিয়ে পাল্টা প্রতিক্রিয়া আসে বিজেপির তরফেও৷ বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র প্রদীপ ভাণ্ডারী প্রিয়ঙ্কার বিরুদ্ধে স্বাধানীতা সংগ্রামের প্রতীকের অবমূল্যায়ন করার অভিযোগ তোলেন৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘সংসদে বন্দে মাতরম নিয়ে আলোচনা কেন হবে, সেই প্রশ্ন তুলছেন৷ যে গান ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের ভিত্তি’৷
প্রসঙ্গত, সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই জাতীয় গান ‘বন্দে মাতরম’-এর ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত ১০ ঘণ্টার আলোচনার সূচনা করেন৷ তাঁর বক্তৃতায় তিনি কংগ্রেসকে নিশানা করে অভিযোগ তোলেন, ‘‘যে বন্দে মাতরম্-এর ভাবনা এত মহান ছিল, গত শতকে তার সঙ্গে এত বড় অন্যায় কেন হল, বিশ্বাসঘাতকতা কেন হল? কোন এমন শক্তি ছিল যে তাদের ইচ্ছে সম্মানীয় গান্ধিজির ভাবনাকেও উপেক্ষা করল৷ ফলে আজকে যখন আমরা বন্দে মাতরম্-এর সার্ধশতবার্ষিকী পালন করছি, তখন নতুন প্রজন্মকে এর ইতিহাস জানানোর দায়িত্বও আমাদের৷ ইতিহাস সাক্ষী আছে, কংগ্রেস মুসলিম লিগের চাপের সামনে আত্মসমর্পণ করেছিল৷ তাই বন্দে মাতরম্-কে টুকরো করা হয়েছিল৷ এই তোষণের রাজনীতির জন্যই কংগ্রেসকে একদিন ভারতকে ভাগ করার চাপের সামনেও আত্মসমর্পণ করতে হয়েছিল৷ আজও কংগ্রেস এবং তাদের সঙ্গীরা বন্দে মাতরম্-কে নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টির চেষ্টা করছে৷’
