PM Modi on Vande Mataram: 'বন্দে মাতরম্-এর সঙ্গে অন্যায়, বিশ্বাসঘাতকতা কে করল?' কংগ্রেসের শাসনকালকে নিশানা করে প্রশ্ন মোদির

Last Updated:

১৯০৫ সালে মহাত্মা গান্ধি নিজে বন্দে মাতরম্-কে জাতীয় সঙ্গীত করার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন বলেও দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী৷

লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷
লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷
বন্দে মাতরম্ বিতর্ক নিয়ে লোকসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসকেই নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ প্রধানমন্ত্রী ভাষণের শুরুতেই কটাক্ষের সুরে মনে করিয়ে দিলেন, বন্দে মাতরম্ সৃষ্টির শতবর্ষের সময় তৎকালীন কংগ্রেস সরকার দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছিল৷
এমন কি, গত শতকে বন্দে মাতরমের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী৷ স্বভাবতই প্রধানমন্ত্রীর নিশানা ছিল কংগ্রেসের শাসনকালের দিকেই৷ যদিও এখন বন্দে মাতরম্ রচনার সার্ধশতবর্ষ পালন কেন্দ্রীয় সরকার গর্বের সঙ্গে উদযাপন করছে বলেও দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী৷ নরেন্দ্র মোদির দাবি, ২০৪৭ সালের মধ্যে আত্মনির্ভর এবং সমৃদ্ধ ভারত গড়ে তোলার যে লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে, তাতেও অনুপ্রেরণা জোগাবে বন্দে মাতরম্৷
advertisement
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই গান এমন সময় রচিত হয়েছিল যখন ১৮৫৭ সালে স্বাধীনতার লড়াইয়ের পর ইংরেজরা ভারতীয়দের উপরে অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়েছিল৷ সেই সময় ইংরেজরা তাঁদের জাতীয় গান গড ‘সেভ দ্য ক্যুইন’-কে ভারতের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন৷ তখনই ইটের জবাবে পাটকেলের মতো বঙ্কিমচন্দ্র বন্দে মা তরম রচিত করেন৷ পরে ১৮৮২ সালে তিনি যখন আনন্দমঠ লেখেন তখন বন্দে মাতরমকে সেখানে অন্তর্ভুক্ত করেন৷’
advertisement
advertisement
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বন্দে মাতরম্ রচনার সময় তা স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্বর হয়ে গিয়েছিল৷ বন্দে মাতরম্-এর একশো বছর পূর্তির সময় কংগ্রেস দেশে জরুরি অবস্থা করেছিল৷ আমাদের সৌভাগ্য আমরা বন্দে মাতরম্ রচনার দেড়শো বছর পূর্তি উদযাপন করতে পারছি৷ বন্দে মাতরম্ বহু স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে৷ আমরা সম্মিলিত ভাবে এই ঐতিহাসিক মুহূর্তকে স্মরণীয় করে রাখতে চাইছি৷’
advertisement
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যাঁদের উপরে ব্রিটিশরা অত্যাচার করত, তাঁদের ভাষা আলাদা ছিল৷ কিন্তু তাঁদের একসূত্রে বেঁধে রেখেছিল বন্দে মাতরম্৷ ক্ষুদিরাম বোসের মতো স্বাধীনতা সংগ্রামীরা বন্দে মাতরম্ গাইতে গাইতে হাসিমুখে ফাঁসিবরণ করেছিলেন৷ বন্দে মাতরম্-এর মতো এমন কোনও গান নেই যা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে একটা জাতিকে অনুপ্রাণিত করছে৷ এই কারণেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন, ‘‘একই সূত্রে বাঁধিয়াছি সহস্রটি মন, একই কাজে সঁপিয়াছি সহস্র জীবন, বন্দে মাতরম্৷’’
advertisement
নরেন্দ্র মোদির আরও দাবি, বন্দে মা তরম ভারতকে স্বাবলম্বী হওয়ার পথ দেখিয়েছিল৷ দেশলাইয়ের বাক্স থেকে বড় বড় জাহাজের গায়ে বন্দে মাতরম্ লিখে দেওয়া হত৷ বিদেশি সংস্থাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিল বন্দে মাতরম্৷
১৯০৫ সালে মহাত্মা গান্ধি নিজে বন্দে মাতরম্-কে জাতীয় সঙ্গীত করার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন বলেও দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী৷ এর পরেই কংগ্রেসের দিকেই নিশানা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যে বন্দে মাতরম্-এর ভাবনা এত মহান ছিল, গত শতকে তার সঙ্গে এত বড় অন্যায় কেন হল, বিশ্বাসঘাতকতা কেন হল? কোন এমন শক্তি ছিল যে তাদের ইচ্ছে সম্মানীয় গান্ধিজির ভাবনাকেও উপেক্ষা করল৷ ফলে আজকে যখন আমরা বন্দে মাতরম্-এর সার্ধশতবার্ষিকী পালন করছি, তখন নতুন প্রজন্মকে এর ইতিহাস জানানোর দায়িত্বও আমাদের৷ ইতিহাস সাক্ষী আছে, কংগ্রেস মুসলিম লিগের চাপের সামনে আত্মসমর্পণ করেছিল৷ তাই বন্দে মাতরম্-কে টুকরো করা হয়েছিল৷ এই তোষণের রাজনীতির জন্যই কংগ্রেসকে একদিন ভারতকে ভাগ করার চাপের সামনেও আত্মসমর্পণ করতে হয়েছিল৷ আজও কংগ্রেস এবং তাদের সঙ্গীরা বন্দে মাতরম্-কে নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টির চেষ্টা করছে৷’
advertisement
লোকসভায় বন্দে মাতরম্ বিতর্ক নিয়ে আলোচনার জন্য দশ ঘণ্টা সময় বরাদ্দ করা হয়েছে৷ প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং সহ বিজেপি-র পক্ষে আরও অনেকের এই বিতর্কে বক্তব্য রাখার কথা৷ কংগ্রেসের হয়ে বক্তব্য রাখবেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধি, গৌরব গগৈরা৷ লোকসভার পর রাজ্যসভাতেও বন্দে মাতরম্ নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা৷
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
PM Modi on Vande Mataram: 'বন্দে মাতরম্-এর সঙ্গে অন্যায়, বিশ্বাসঘাতকতা কে করল?' কংগ্রেসের শাসনকালকে নিশানা করে প্রশ্ন মোদির
Next Article
advertisement
রাজ্যে আরও পাঁচ স্পেশাল অবজার্ভার, ৫ জেলার SIR কাজ পর্যবেক্ষণ করবেন পাঁচ সিনিয়র IAS আধিকারিক
রাজ্যে আরও পাঁচ স্পেশাল অবজার্ভার, ৫ জেলার SIR কাজ পর্যবেক্ষণ করবেন পাঁচ সিনিয়র আধিকারিক
  • নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, প্রেসিডেন্সি, মালদহ, জলপাইগুড়ি, বর্ধমান ও মেদিনীপুর ডিভিশনে এসআইআর কাজ পর্যবেক্ষণ করতে পাঁচজন সিনিয়র আইএএস অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে. তারা দিল্লির কেন্দ্রীয় সরকারি দফতরে কর্মরত ছিলেন. এসআইআর প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা রাজ্যে কাজ করবেন.

VIEW MORE
advertisement
advertisement