বুধবার হাওড়া থেকে পুরী ছেড়ে যাওয়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের রিশিডিউল করা হয়েছিল। সকাল ৬টার পরিবর্তে ট্রেন ছেড়েছে সকাল আটটায়। দেরিতে ট্রেন ছাড়ার কারণ হিসাবে রেল জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে প্রবল ঝড় বৃষ্টির কারণে ট্রেন আসতে দেরি করে। তাই ট্রেন সেট রক্ষণাবেক্ষণ করে ছাড়তে দেরি হয়েছে। তাই রিশিডিউল করা হয়েছে।
রেল সূত্রে খবর, তাদের কমার্শিয়াল বিভাগের কর্মী অর্থাৎ, যিনি অন বোর্ড রেলের টিকিট পরীক্ষক ছিলেন তাঁর কাছে খবর আসে সি২ কামরার এক যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ট্রেন তখন কটক স্টেশন ছেড়ে দিয়েছে। যাত্রীদের অভিযোগ, কটক ঢোকার আগে দীর্ঘ সময় ট্রেন দাঁড়িয়ে ছিল। রেল ওই যাত্রীর সাথে থাকা ব্যক্তিদের জানায়, খুরদা রোড স্টেশনের পাশে রেল হাসপাতাল আছে। সেখানে চিকিৎসকের কাছে যাত্রীকে নিয়ে যাওয়া হতে পারে, ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ওই যাত্রীর পরিবার ও সহযাত্রীরা তা নিয়ে বিস্তর প্রতিবাদ করতে শুরু করেন। শেষমেষ ট্রেন থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ভুবনেশ্বর স্টেশনে চিকিৎসকদের কাছে নিয়ে যাওয়া হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: এবার আধার নম্বর দিলেই মিলবে তৎকালের টিকিট! আর ঝামেলা নয়…জানুন কী হতে চলেছে পদ্ধতি
প্রসঙ্গত, কটক থেকে ভুবনেশ্বর যেতে সময় লাগে ৪০ মিনিট। দুই স্টেশনের মাঝে আরও ৬টা স্টেশন রয়েছে। ভুবনেশ্বর থেকে খুরদা রোড যেতে সময় লাগে ১৮ মিনিট। মাঝে আছে আরও দুটো স্টেশন। যাত্রীদের অভিযোগ, কটক থেকে ভুবনেশ্বর মাঝে একাধিক স্টেশন থাকলেও ট্রেন কেন সেখানে দাঁড় করিয়ে যাত্রীকে হাসপাতাল পাঠানোর ব্যবস্থা করা গেল না? রেলের যুক্তি যেখানে চিকিৎসক ও অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যাবে সেখানেই ট্রেনকে দাঁড় করানো হয়।
এক্ষেত্রে, তাই ভুবনেশ্বরে ট্রেন দাঁড়িয়ে ছিল। তবে বন্দে ভারতের মতো প্রিমিয়াম ট্রেনে একজন চিকিৎসক থাকবে না? রেলের দাবি, কোনও ট্রেনেই চিকিৎসক পাঠানো হয় না। রেলের একই সাথে দাবি, সি২ কোচে কি হয়েছিল তার সবটাই জানা যাবে সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখলে।