চামোলি, রুদ্রপ্রয়াগ, টেহরি এবং বাগেশ্বর জেলায় পরিস্থিতি সবচেয়ে বেশি গুরুতর। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করে দ্রুত ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যক্রম নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
advertisement
এদিকে, টাইমস অফ ইন্ডিয়া-র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গঙ্গোত্রী ও যমুনোত্রী পথে মোট ২৩টি সক্রিয় বিপদ অঞ্চল চিহ্নিত করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ সংখ্যা ১৬টি বেশি। নতুনভাবে চিহ্নিত উচ্চ-ঝুঁকির অঞ্চলগুলির মধ্যে রয়েছে ধরাসু, নালুপানি, নালুনা এবং দবরানি।
উত্তরকাশী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা শার্দুল গুসাইন জানিয়েছেন, জুলাই মাস থেকে অবিরাম বৃষ্টিপাত পুরোনো বিপজ্জনক স্থানগুলোকে পুনরায় সক্রিয় করেছে এবং একইসঙ্গে নতুন বিপজ্জনক অঞ্চলও তৈরি করেছে।
আরও পড়ুন: ২ পাতার জেরক্সের জন্য খরচ ৪০০০ টাকা! ফের পঞ্চায়েতের দুর্নীতি প্রকাশ্যে…
তিনি আরও জানান, “গঙ্গোত্রী ন্যাশনাল হাইওয়ের ১২৮ কিমি দীর্ঘ পথে ১৫টি বিপদ অঞ্চল চিহ্নিত হয়েছে ধরাসু থেকে গঙ্গোত্রী পর্যন্ত, আর ধরাসু থেকে যমুনোত্রী পর্যন্ত ১০৫ কিমি দীর্ঘ হাইওয়েতে রয়েছে আটটি বিপদ অঞ্চল।”
উত্তরকাশীর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্রশান্ত আর্য বলেন, “ভারী বৃষ্টির কারণে নতুন ভূমিধস অঞ্চলগুলো সক্রিয় হয়ে উঠছে। বৃষ্টি কমলে আমরা সেসব এলাকায় সুরক্ষার কাজ শুরু করব। বর্তমানে আমাদের মূল অগ্রাধিকার বড় রাস্তা খুলে দেওয়া। আপাতত যমুনোত্রী এবং জঙ্গলছাট্টি সংলগ্ন রাস্তা বন্ধ রয়েছে, আর গঙ্গোত্রী রুটের হরশিলে কাজ চলছে।”
সর্বশেষ ভূমিধসের পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রমণার্থীদের উদ্দেশে জানানো হয়েছে যে তারা যাত্রা শুরু করার আগে অবশ্যই রাস্তার অবস্থা দেখে নেবেন এবং পুলিশ ও প্রশাসনের জারি করা নির্দেশিকা মেনে চলবেন।
আবহাওয়া দফতর আগামী ২৪ ঘণ্টার জন্য বাগেশ্বর, চামোলি, দেরাদুন এবং রুদ্রপ্রয়াগ জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির জন্য রেড অ্যালার্ট জারি করেছে।