উদ্ভিদবিদ্যা নিয়ে বহুচর্চিত ও জনপ্রিয় শতাব্দী প্রাচীন জার্নালে প্রকাশি পেয়েছে এই তথ্য। আর তার পর থেকেই আপাতত সংবাদ শিরোনামে এই মানুষখেকো গাছ। অত্যন্ত বিরল মাংসাশী এই উদ্ভিদ প্রজাতির গাছটির সন্ধান মিলেছে পশ্চিম হিমালয় অঞ্চলে। উত্তরাখণ্ডে প্রথম ওই মাংসাশী উদ্ভিদের খোঁজ মেলার পর জানা যায় ওই বিরল প্রজাতির গাছের নাম। ইউট্রিকুলারিয়া ফার্সেলাটা নামে অভিহিত করা হয় ওই মাংসাশী উদ্ভিদকে।
advertisement
আরও পড়ুন: অভিনেত্রীকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগে গ্রেফতার জনপ্রিয় অভিনেতা বিজয় বাবু
আরও পড়ুন: বাবার স্বপ্ন পূরণ করল ছেলে, ইন্টারন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপে ক্যারাটেতে সোনা জয় হাওড়ার ছেলের
উত্তরাখণ্ডের বন দফতরের একদল গবেষক এই উদ্ভিদকে খুঁজে পেয়েছেন। এই গবেষক দলের মধ্যে ছিলেন রেঞ্জ অফিসার হরিশ নেগি এবং জুনিয়র রিসার্চ ফেলো মনোজ সিং। জানা গিয়েছে, এই পরিশীলিত এবং উন্নত প্রজাতির উদ্ভিদ প্রোটোজোয়া থেকে পোকামাকড়, মশার লার্ভা, এমনকী তরুণ ট্যাডপোল পর্যন্ত খেতে পারে। এই মাংসাশী উদ্ভিদ সাধারণত ব্লাডারওয়ার্টস নামে পরিচিত। এই আবিষ্কারটি উত্তরাখণ্ডে উদ্ভিদের কীটনাশক তৈরির একটি গবেষণার অংশ হিসাবে উঠে এসেছে।
প্রধান বন সংরক্ষক সঞ্জীব চতুর্বেদী জানান, 'এটি শুধুমাত্র উত্তরাখণ্ডে নয়, সমগ্র পশ্চিম হিমালয় অঞ্চলে রয়েছে। তবে উদ্ভিদটি প্রথম দেখা যায় উত্তরাখণ্ডে। তারপর গবেষকরা অনুসন্ধান চালিয়ে দেখেন ওই মাংসাশী উদ্ভিদ রয়েছে পশ্চিম হিমালয়ের বিস্তীর্ণ এলাকায়। তারপর ওই মাংসাশী উদ্ভিদের প্রকৃতি নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছেন গবেষকরা।'