মির্জাপুর শহরের মড়িহান তহশীলের বেলহরা গ্রামেই আছে মোহন ব্রহ্ম দরবার। এখানে বসে ভূতেদের মেলা। প্রতি সোমবার এখানে ভিড় উপচে পড়ে। চৈত্র সংক্রান্তিতে ভিড় হয় কয়েক হাজার থেকে লক্ষাধিক ভক্তর। তাঁরা শ্রদ্ধায় অবনত হয়ে বাবার দরবারে মাথা ঠেকান। তাঁদের বিশ্বাস, এখানে বাবার পতাকা দেখেই বিদেহী আত্মারা নাকি নাচতে থাকে। মোহন ব্রহ্ম মহারাজকে নিয়ে একাধিক গল্প প্রচলিত। কথিত, মোহন ব্রহ্ম মহাজার ছিলেন এক কুস্তিগীর। মৃত্যুর কিছু দিন পর তিনি স্বপ্নে দেখা দেন। এর পর তাঁর পরিবারের সদস্যরা মির্জাপুর থেকে জল নিয়ে বিহারের জৌনপুর এলাকার হরসু ব্রহ্ম দরবারে পৌঁছন। সেখানেই তাঁরা পুজোর পদ্ধতি শেখেন। এর পর কয়েকশো বছর ধরে দরবারে আগত ভক্তদের দুঃখ দুর্দশা বাবা দূর করেন বলেই বিশ্বাস। যাঁরা মনে করেন তাঁদের কোনও পরিচিতর উপর কোনও আত্মা ভর করেছে, তাঁরা তাঁকে এখানে আনেন। প্রচলিত বিশ্বাস, এখানে আনলে দুষ্টু আত্মা নাকি ছেড়ে চলে যায়। যে শরীর বা আধার তারা ভর করেছে, সেটা ছেড়ে তারা চলে যায়।
advertisement
আরও পড়ুন : যাত্রী বোঝাই বাসে ঘোড়ার চেয়েও দ্রুতগামী বিষধর সাপ! মৃত্যুদূতকে দেখে আতঙ্কিত যাত্রীরা
মোহন ব্রহ্ম মহারাজের পুজারী জানিয়েছেন এখানে দূর দূরান্ত থেকে কয়েক লক্ষ বিশ্বাসী ভক্তের সমাগম হয়। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই আসেন সমস্যার প্রতিকার প্রার্থনা করে এই স্থানে আসেন। তাঁদের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হয় বলেই জানিয়েছেন তাঁরা। গত চারশো বছর ধরে এখানে মেলা আয়োজিত হয়ে আসছে। তর্কে বহুদূর হলেও তাঁদের কাছে বিশ্বাসে মিলায় সব।
( প্রচলিত রীতি ও আচরণকে এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। কোনও অন্ধ বিশ্বাস বা কুসংস্কারকে প্রশ্রয় দেওয়ার উদ্দেশ্য নেই।)