ওই হাসপাতালে এসে উপস্থিত হন মহিলার স্বামী। তাঁর মোটর বাইকে বাঁধা একটি বস্তা। ওই ব্যক্তি দাবি করেন, যে সাপটি তাঁর স্ত্রীকে ছোবল দিয়েছে, সেটিকে বেঁধে এনেছেন তিনি। যাতে চিকিৎসক সাপ সনাক্ত করে উপযুক্ত চিকিৎসার বন্দোবস্ত করেন।
আরও পড়ুন: স্ত্রী আধুনিকা নন, তাই পুড়িয়ে মারার চেষ্টা! দিল্লির ঘটনা শুনলে হতবাক হবেন আপনিও!
advertisement
এদিকে বস্তাবন্দি সাপ দেখেই হাসপাতালের কর্মী এবং উপস্থিত অন্য রোগীর আত্মীয়রা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। খবর দেওয়া হয় বন দফতরে। উত্তরপ্রদেশের উন্নাও জেলার ঘটনা।
জানা গিয়েছে, উন্নাও জেলার সফিপুর কোতোয়ালি এলাকার উমর আটোয়া গ্রামের বাসিন্দা ওই ব্যক্তির নাম নরেন্দ্র। তাঁর স্ত্রী কুসমা ওই দিন সকালে ঘর পরিষ্কার করছিলেন। হঠাৎই তাঁর চিৎকারে ছুটে আসেন পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা। সাপের ছোবল খেয়ে আতঙ্কেই অজ্ঞান হয়ে যান কুসমা। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছন পরিবারের সদস্যরা। সেসময় বাড়িতে ছিলেন না নরেন্দ্র। পরে ঘটনার কথা জানতে পেরে তিনি বাড়ির ভিতর থেকেই পাকড়াও করেন সাপটিকে।
আরও পড়ুন: পাশ থেকে দেখা যায়, অথচ সামনে থেকে নয়! চম্বল রিভার ফ্রন্টের ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ তাক লাগাচ্ছে!
সেটিকে বস্তায় বেঁধে মোটরবাইকে চড়ে তিনি উপস্থিত হন সোজা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে। বস্তায় সাপ রয়েছে জানিয়ে চিকিৎসককে তা দেখতে অনুরোধও করেন। তাঁর দাবি, সাপ দেখে সনাক্ত করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করা হোক।
এই কথা শুনে রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন চিকিৎসক ও অন্য চিকিৎসাকর্মীরা। পরে সাপটিকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়।জেলা হাসপাতালে ইএমও চিকিৎসক তুষার শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, ওই মহিলাকে সাপে ছোবল দিলেও তিনি বিপন্মুক্ত৷ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করা হয়েছে।
এমন ঘটনা অবশ্য একেবারে নজিরবিহীন নয়। বরং অনেক সময়ই দেখা যায় ছোবল খেয়ে নিজেই আক্রান্ত সাপ ধরে নিয়ে যান চিকিৎসকের কাছে। যাতে চিকিৎসা ঠিক মতো হতে পারে। আবার সাপ আদৌ বিষাক্ত কি না তা জানতেও অনেকে সাপটি ধরে রাখেন। বন দফতরের তরফে সচেতন থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়।