৯০ মিনিটও নয়, মাত্র ৮৭ মিনিটেই বলা শেষ। এযাবৎকালের মধ্যে সবচেয়ে কম সময়ে বজেট বক্ৃতা শেষ করার নজির গড়লেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ইনকাম ট্যাক্সে বিপুল ছাড়! বাজেটে আর কী কী বড় ঘোষণা, দেখে নিন ১০ পয়েন্টে
এই নিয়ে পঞ্চম দফা সংসদে বাজেট পেশ করলেন নির্মলা। দ্বিতীয় মোদি সরকারের শেষ বাজেট। এদিন বাজেট পরনে ছিল কালো পাড়, লাল শাড়ি। ঠোঁটের কোণে আলতো হাসি।
advertisement
মাঝেমধ্যেই নানা মন্তব্য করে নেটিজেনদের সমালোচনার শিকার হন নির্মলা। তবে আজ, বুধবার বাজেট পেশের দিন কিন্তু বেশ দৃপ্তই লাগছিল ভারতের মহিলা অর্থমন্ত্রীকে। সংসদে বাজেট পেশের আগে তিনি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গেও গিয়ে দেখা করেন। কাঁটা কাঁটায় ঠিক ১১ টা থেকে শুরু হয় বাজেট বক্তৃতা।
অমৃতকালের প্রথম সপ্তঋষি বাজেট পেশ করতে গিয়ে গিয়ে একে একে প্রত্যেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ই ছুঁয়ে যান নির্মলা। তাঁর আলোচনায় উঠে আসে সমাজের সবক্ষেত্রের উন্নয়ন, প্রত্যন্ত সীমায় উন্নয়নের সুফল পৌঁছে দেওয়া, পরিকাঠামো উন্নয়ন, প্রকৃত ক্ষমতাকে কাজে লাগানো, পরিবেশ বান্ধব উন্নয়ন, যুব শক্তির বিকাশ এবং আর্থিক ক্ষেত্রে উন্নয়নে জোরের মতো প্রসঙ্গ।
আরও পড়ুন:পালাবদল হচ্ছে? বাজেট পড়তে গিয়ে মুখ ফস্কে এ কী বললেন নির্মলা, সংসদে হাসির রোল
সব শেষে ভারতের মধ্যবিত্ত সমাজের জন্য বড় ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী। ৫ লক্ষ থেকে বাড়িয়ে করছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা করা হয় ৭ লক্ষ ৷ পুরনো কাঠামোয় ৩ লক্ষ থেকে ৬ লক্ষ টাকা আয়ে ৫ শতাংশ কর। ৯ থেকে ১২ লক্ষ আয়ে ১৫ শতাংশ কর। ১৫ লক্ষের বেশি আয়ে ৩০ শতাংশ কর ধার্য করার ঘোষণা করেন নির্মলা।
কিন্তু এই বাজেট বক্ৃতার গোটাটাই নির্মলা শেষ করেছেন মাত্র ৮৭ মিনিটে। যা এককথায় রেকর্ড।
গত বছর ৯২ মিনিটে বাজেট বক্তৃতা শেষ করে সবচেয়ে কম সময় বাজেট পাঠের নজির গড়েছিলেন নির্মলা। তার আগের বছর, অর্থাৎ, ২০২১ সালে ১
ঘণ্টা ৫০ মিনিটে বাজেট পাঠ শেষ করেছিলেন নির্মলা।
তবে ২০২০ সালের রেকর্ড সব দিক থেকেই ছাপিয়ে গিয়েছিল। প্রায় তিন ঘণ্টা, অর্থাৎ, ২ ঘণ্টা ৪০ মিনিট ধরে বাজেট বক্তৃতা দিয়ে রীতিমতো ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। শ্বাস নিতে সমস্যা হওয়ায় নিতে হয়েছিল ব্রিদার। মাঝে মাঝে এনার্জি ড্রিঙ্ক খাচ্ছিলেন নির্মলা।
তবে, এদিন বক্তৃতার মাঝে 'পলিউশন'কে ভুল করে 'পলিটিক্যাল' পড়া ছাড়া আর কোথাও হোঁচট খেতে হয়নি অর্থমন্ত্রীকে।