শিলং সিটি পুলিশের প্রধান হার্বার্ট পিনিয়েড এই খবর জানিয়েছেন৷ রাজা হত্যাকাণ্ডের তদন্তে মেঘালয় পুলিশ যে বিশেষ তদন্তকারী দল তৈরি করেছিল, তার প্রধানও এই পুলিশকর্তা৷ তিনি জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাজা খুনে অভিযুক্ত দুই ভাড়াটে খুনি আকাশ রাজপুত এবং আনন্দ কুর্মিকে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করানো হয়৷ কিন্তু সেখানে কোনও বয়ান দিতে অস্বীকার করে তারা৷
advertisement
ওই পুলিশকর্তা জানিয়েছেন, সোনম, তাঁর প্রেমিক রাজ সহ পাঁচ অভিযুক্তের মধ্যে দু জনকে বৃহস্পতিবার ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে পেশ করা হয়৷ কিন্তু মুখে কুলুপ আঁটে ওই দু জন৷ যদিও ওই পুলিশকর্তার দাবি, ধৃতদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই পুলিশের কাছে যথেষ্ট জোরাল তথ্যপ্রমাণ রয়েছে৷ পাশাপাশি ফরেন্সিক পরীক্ষার রিপোর্টের জন্যও অপেক্ষা করছে পুলিশ৷
এর আগে মেঘালয় পুলিশ দাবি করেছিল, সোনম- রাজ সহ পাঁচ অভিযুক্তই নিজেদের অপরাধের কথা স্বীকার করে নিয়েছে৷ ওই পুলিশকর্তা বলেন, ‘অভিযুক্তদের বয়ান দেওয়ার জন্য জোর করা যায় না৷ এটা তাদের উপরে নির্ভর করে৷ কিন্তু তথ্যপ্রমাণও অভিযোগ প্রমাণে সমান গুরুত্বপূর্ণ৷ ফলে কোনও সমস্যা নেই৷ এই মামলায় আমাদের হাতে প্রমাণ রয়েছে৷’
আরও পড়ুন: সঙ্গমের মুহূর্তের লাইভ স্ট্রিমিং, মোটা টাকা উপার্জন দম্পতির! ফাঁস হয়ে গেল পরিচয়, তার পরই সর্বনাশ
ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৮০ ধারায় পুলিশ অভিযুক্তদের স্বীকারোক্তি আদায় করতে পারেন৷ কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে ১৮৩ ধারায় রেকর্ড করা জবানবন্দিই অভিযোগ প্রমাণের ক্ষেত্রে আদালতগ্রাহ্য বলে গণ্য করা হয়৷
আনন্দ এবং আকাশ ছাড়াও বিশাল সিং চৌহান নামে আরও একজন খুনিকে রাজাকে হত্যার জন্য ভাড়া করেছিল সোনম এবং তার প্রেমিক রাজ কুশাওয়া৷ গত ২৩ মে মেঘালয়ে হনিমুনে নিয়ে গিয়ে রাজাকে খুন করে তাঁর সদ্যবিবাহিতা স্ত্রী সোনম৷ বেশ কয়েকদিন পরে রাজার দেহ উদ্ধার হয়৷ তার পরই ফাঁস হয়ে যায় সোনম এবং তার প্রেমিক রাজের এই হাড় হিম করা ষড়যন্ত্র৷