আরও পড়ুন: ট্রাকশন মোটরস খুলে যায়, ময়নাগুড়ির দুর্ঘটনায় যে মারাত্মক কারণ উঠে আসছে...
সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দিয়ে স্বামীপ্রসাদ মৌর্য বলেন, "বিজেপি-র পরাজয়ের শঙ্ঘধ্বনি দেওয়া হল আজ। বিজেপি দেশ ও উত্তরপ্রদেশের মানুষকে বেপথে চালিত করেছে। মানুষকে হেনস্থা করেছে, তাদের চোখে ধুলো দিয়েছে। এ বার এই দলকে সরাতেই হবে। উত্তরপ্রদেশকে বাঁচাতে হবে।" বুধবার মৌর্যকে তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যতের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছিলেন, ১৪ জানুয়ারি তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে ছবিটা স্পষ্ট হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: উত্তর প্রদেশে দলবদলের শোরগোল, তথাগত রায়ের নিশানায় 'সেই' বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব!
এর আগে মঙ্গলবার দল ছাড়েন মৌর্য। তাঁর অভিযোগ ছিল, বিজেপি পিছিয়ে পড়া শ্রেণির কথা শুনছে না। তাঁদের পাত্তা দিচ্ছে না। তিনি সেই সময়েই দাবি করেছিলেন, উত্তরপ্রদেশে বিজেপি-র ক্ষমতায় আসার এক বছর আগে তিনি গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন। তারপরেই বিজেপি-র জনপ্রিয়তা বাড়ে। তিনি যখন ছেড়ে দিয়েছেন, তখন বিজেপি ধুলোয় মিশে যাবে। মৌর্যের পদত্যাগের পরেই বানের জলের মতো ভাঙতে শুরু করে বিজেপি। এখনও পর্যন্ত দুই মন্ত্রি-সহ বিজেপি ছেড়েছেন মোট ১০ জন বিজেপি বিধায়ক। সকলেই পিছিয়ে পড়া শ্রেণির প্রতি বিজেপির বঞ্চনার অভিযোগ তুলে দল ছেড়েছেন।
উল্লেখযোগ্য ভাবে এই দলিত রাজনীতির সমীকরণের বদলের ইঙ্গিত প্রতিবারই দিয়েছেন সমাজবাদী পার্টি নেতা অখিলেশ যাদব। তিনিই প্রতিবার বিজেপি মন্ত্রী-বিধায়কদের দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছেন ট্যুইটারে। এখন সেই দলিত ভোটের ব্যাঙ্কের হাত ধরেই এ বারে বিধানসভা নির্বাচনের অগ্নিপরীক্ষায় পাশ করতে চাইছেন মুলায়েম পুত্র, এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।