ঘটনাটি লঙ্কা থানা এলাকার মাদারওয়া গ্রামের। দারোয়ার বাসিন্দা ঊষা ত্রিপাঠি ৮ ডিসেম্বর ২০২২ সালে মারা যান। তাঁর দুই মেয়ে পল্লবী এবং বৈশ্যিক ত্রিপাঠী। পল্লবী ত্রিপাঠী (২৭) একজন সাধু। এবং মৃতা উষা ত্রিপাঠীর ছোট মেয়ে বৈশ্যিক দশম শ্রেণির ছাত্রী।
আরও পড়ুন: উত্তরকাশীতে ‘হিরো’ এই ১২ র্যাট হোল মাইনার্স
advertisement
মায়ের মৃতদেহ কেন আগলে রেখেছিল দুই মেয়ে? পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই বোনে জানায় শবদেহ সত্কারের অর্থ না থাকায় তাঁরা এই কাজ করেছেন। ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে। দুই বোনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু করেছে পুলিশবাহিনী।
উষা ত্রিপাঠীর লাশ বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে। মৃতার দুই কন্যা জানায়, শারীরিক অসুস্থতার কারণেই মারা গিয়েছেন তাঁদের মা। এবং আর্থিক অভাবের কারণেই তাঁরা মায়ের সত্কার করতে পারেননি। এক বছর ধরে কীভাবে নিজেদের ভরণ পোষণ চালিয়েছেন ওই দুই কন্যা? পুলিশ জেরার মুখে পল্লবী এবং বৈশ্যিক জানিয়েছেন, তাঁরা বাড়ির গয়না, বাসন-সহ দামি জিনিসপত্র বিক্রি করেই খরচ চালিয়েছেন।
ইতিমধ্যেই মৃতার কঙ্কাল ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। উষা ত্রিপাঠীর মৃত্যু স্বাভাবিক নাকি খুন তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। লঙ্কা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, কঙ্কালের পোস্টমর্টেম করা হচ্ছে। রিপোর্ট পেলেই বিষয়টি জানা যাবে। তিনি এও জানান,‘‘মেয়ে দুটিকেও মানসিকভাবে অসুস্থ বলেই মনে হচ্ছে।’’