এমন কী পাল্টে গেল আরএসএস-এর অফিশিয়াল ট্যুইটার অ্যাকাউন্টের ডিপিও। পাশাপাশি, শনিবার আরএসএসের পক্ষ থেকে একটি ভিডিও শেয়ার করা হল সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে ডাক দেওয়া হল আজাদি কা অমৃত মহোৎসবে অংশ নেওয়ার। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে দেশের সাধারণ মানুষ যাতে ঘরে ঘরে পতাকা তোলেন, সেই বিষয়টিও বলা হল। রাজনৈতিক মহলের মতে এই ঘটনা যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ।
advertisement
কয়েকদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ও নানা মহলে একটি আলোচনা বেশ সামনের সারিতে উঠে এসেছে। তার মধ্যে রয়েছে এটি যে দলীয় পতাকা ছাড়া আরএসএস-এর দফতরে আর কোনও পতাকা সর্বোচ্চ মর্যাদায় তোলা হয় না। তবে সঙ্ঘের বর্তমান অবস্থান ও ট্যুইটে সেই দাবিকে কার্যত নস্যাৎ করে দিতেই দেখা গেল।
আরও পড়ুন: 'পিঠে চড়াম চড়াম ঢাক বাজবে!' সিবিআই হেফাজতে অনুব্রত, তবু হুঁশিয়ারি তৃণমূল নেতার
এর আগে কংগ্রেস নেতা পবন খেরা একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করেছিলেন ট্যুইটারে। সেখানে দেখা গিয়েছিল, প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দেননি মোহন ভাগবত, তাঁর ট্যুইটারে তাঁর নিজেরই ছবি রয়েছে। এ ছাড়া আরএসএসের দলীয় ট্যুইটার হ্যান্ডেলেও ডিসপ্লে পিকচার রয়েছে সঙ্ঘের নাম ও পতাকা। তার পরই তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়।
যদিও দলীয় স্তরে তখনই এই বিতর্কের আগুনে জল ঢালেন সঙ্ঘের প্রচার প্রমুখ সুনীল আম্বেদকর। তিনি বলেন, সঙ্ঘের তরফ থেকে ইতিমধ্যে আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে। সঙ্ঘের সদস্যদের বলা হয়েছে, তাঁরা যেন রাজ্য় ও কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত অনুষ্ঠানকে সমর্থন ও সহযোগিতা করেন। এখন এই নিয়ে অযথা জলঘোলা করা বা রাজনীতি করার কোনও মানে হয় না।