সম্প্রতি দিল্লি, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে একাধিকবার কম্পণ অনুভূত হয়েছে। তবে সেই কম্পণের মাত্রা খুব বেশি ছিল না। কিন্তু বারবার ভূমিকম্পের কম্পণে কেঁপে ওঠায় স্বাভাবিক ভাবেই চিন্তার আশঙ্কা থাকছে। এ বিষয়ে ২০২২ সালে ডিসেম্বরে লোকসভায় বিষয়টি তোলা হয়েছে। সেখানে প্রশ্ন ছিল যে, ভারতের কোন কোন এলাকায় ভূমিকম্পের জেরে খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
advertisement
এর জবাবি ভাষণে জানানো হয়েছিল যে হিমালয়ের পাদদেশ এলাকাগুলি বিশ্বের সবচেয়ে ভূকম্পণ কবলিত এলাকা হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এই অঞ্চলটি প্রায় ২৪০০ কিলোমিটার দীর্ঘ। এই এলাকাগুলিতে অতীতে মাঝারি থেকে গুরুতর ভূমিকম্প হয়েছে। বেশ কয়েকবার অত্যন্ত গুরুতর ভূমিকম্প হয়েছে। সেই ভাষণে এটাও বলা হয়েছে, পরিবেশগত কারণে এই এলাকাতে ফের বড়সড় ভূমিকম্পের সম্ভাবনা রয়েছে। বিজ্ঞানীরা এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছে।
লোকসভায় ওই বিবৃতিতে জাননো হয়েছিল, বিজ্ঞানীদের দাবি অনুযায়ী ভূমিকম্প কবলিত এলাকা হিসাবে দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যকে ৪টি জোনে বিভক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে সবথেকে বড় ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে জোন ৫-এ।
জোন-৫ এ যে যে রাজ্যগুলি রয়েছে- জম্মু, কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশের পশ্চিম এলাকা, উত্তরাখণ্ডের উত্তর অংশ, গুজরাতের কচ্ছ উপকূল, বিহারের উত্তর অংশ, উত্তর-পূর্বের সমস্ত রাজ্য, আন্দামান এবং নিকোবার দ্বীপপুঞ্জ।
জোন-৪ এ যে যে রাজ্যগুলি রয়েছে- হিমাচল প্রদেশের বাকি অংশ, লাদাখ, উত্তরাখণ্ডের বাকি অংশ, হারিয়ানা এবং পঞ্জাবের বাকি এলাকা, দিল্লি, সিকিম, উত্তর প্রদেশের উত্তরপ্রান্ত, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, গুজরাত এবং মহারাষ্ট্রের কিছু এলাকা, পশ্চিম রাজস্থান।
আরও পড়ুন, ধ্বংসস্তূপের নীচে ১৭ ঘণ্টা! ভাইকে আগলে রাখল দিদি-র দু'হাত, তারপর....
আরও পড়ুন, মৃতের সংখ্যা আট হাজার পার, তুরস্কে উদ্ধারকাজে নামল চার ভারতীয় কুকুর
জোন-৩ এ যে যে রাজ্যগুলি রয়েছে- কেরল, গোয়া, লাক্ষাদ্বীপ, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত এবং হারিয়ানার বাকি অংশ, মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, কেরলের কিছু অংশ। এই তালিকাতেও স্থান পেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ।
জোন-২ এ যেই রাজ্যগুলি রয়েছে- ভারতের দক্ষিণের রাজ্যগুলি কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা, অন্ধপ্রদেশের কিছু এলাকা, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ এবং ওড়িশার কিছু এলাকা।