জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে আগরতলায় শান্তনুর বাড়িতে হামলা চালায় বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী। তৃণমূলের অভিযোগ, তাঁরা সকলেই বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতী। রাতের অন্ধকারে শান্তনুর বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। আহত শান্তনুকে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। এখনও হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন তিনি। শান্তনুকে দেখতে হাসপাতালে যান ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের স্টিয়ারিং কমিটির আহ্বায়ক সুবল ভৌমিক। সেখানেই তিনি বলেন, ''এভাবে তৃণমূলকে আটকানো যাবে না। শুধু তৃণমূল করার অভিযোগে যেভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে, তা নজিরবিহীন। কিন্তু ত্রিপুরার মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে তৃণমূল।''
advertisement
সূত্রের খবর, ঘটনার পরপরই তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে থানা ঘেরাওয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এই কর্মসূচিতে তৃণমূলের কোন কোন শীর্ষ নেতা থাকবেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন: বিক্ষুব্ধদের বার্তা সোনিয়ার, দলের বৈঠকেই গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা কংগ্রেস সভানেত্রীর!
এ রাজ্যে তৃতীয় বারের মতো ক্ষমতা দখল করে এবার ত্রিপুরায় নজর দিয়েছে তৃণমূল। ইতিমধ্যেই সেখানে ব্যাপকভাবে সংগঠনও গড়ে তোলা হচ্ছে। আর সেই সূত্রেই শুরু থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের উপর আক্রমণ নেমে আসছে বলে অভিযোগ। যুব তৃণমূল কংগ্রেস নেতা থেকে শুরু করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ের উপরও আক্রমণ নেমে এসেছিল। আক্রান্ত হয়েছেন দোলা সেন সহ একাধিক সাংসদ। সেই রেশ মিটতে না মিটতেই এবারও আক্রমণ নেমে এল তৃণমূল নেতার উপর। এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র তাপস রায় বলেন, ‘ত্রিপুরার মানুষ বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করে তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থন করছেন। তাই বারবার ত্রিপুরায় হামলার শিকার হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার শান্তনু সাহাকে আক্রমণ করা হয়েছে।’ বিজেপির পক্ষ থেকে অবশ্য বলা কটাক্ষের সুরে বলা হয়েছে, ‘আগে বাংলা সামলাক তৃণমূল। তারপর তারা ত্রিপুরা নিয়ে ভাববে।’