তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীর এমন মন্তব্য ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। সূত্রের খবর, ত্রিপুরায় সংগঠন ঘোষণার পর থেকে সে অর্থে সক্রিয় ছিলেন না তিনি। সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি কর্মসূচিতেও তাকে দেখা যায়নি। আর এর কারণ হিসাবে মনে করা হচ্ছে দলের সঙ্গে তাঁর প্রতিনিয়ত দূরত্ব। অল্প দিন আগেই দল ছেড়েছেন বাপ্টু চক্রবর্তী। মৃণাল কান্তি দেবনাথের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ইঙ্গিত করছে, তিনিও কি দল ছেড়ে দেওয়ার পথে এগোচ্ছেন। যদিও নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন- প্রয়াত বিগ বস খ্যাত বিজেপি নেত্রী সোনালী ফোগট
ত্রিপুরার রাজনৈতিক মহলের অন্দরের খবর, আশিস লাল সিংহের সাথেও দূরত্ব তৈরি হয়েছে তৃণমূলের। সাম্প্রতিক সময়ে নানা রাজনৈতিক কর্মসূচিতে দেখা যায় না। যদিও তিনি জানিয়েছেন, অসুস্থতার কারণে সাময়িক বিরতি নিয়েছেন ৷ এই সব জটিলতার মধ্যেই বাপটুর তৃণমূল ত্যাগ নিয়ে বিরোধীরা আক্রমণ শানাতে ভোলেননি। গত বছর তৃণমূল কংগ্রেস জানিয়েছিল, উত্তর-পূর্ব ভারতের একাধিক রাজ্যে তারা সংগঠন মজবুত করতে চায়৷ সেখানের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চায়। এই অবস্থায় ২০২১ সালে ত্রিপুরায় পুর নির্বাচনে লড়াই করে তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে শতাংশের বিচারে দ্বিতীয় স্থান দখল করে তারা। যদিও বছর ঘুরতে না ঘুরতেই সেই দল ছেড়ে নেতা চলে যাওয়ায় নানা রাজনৈতিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷ অনেকেই বলছেন, ২০২২ সালের বিধানসভা উপনির্বাচনে খারাপ ফল হওয়ার অন্যতম কারণ এই অন্তঃদ্বন্দ্ব৷ যেখানে ত্রিপুরা তৃণমূল সভাপতি সুবল ভৌমিক হয়ে যাওয়ার পরে অনেকের পছন্দ হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নেতার বক্তব্য, নিজের পছন্দের ব্যক্তিকেই বারবার তিনি সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এমনকি তার প্রকাশ বিধানসভা উপনির্বাচনেও ঘটেছে বলে দাবি তাদের। যদিও কংগ্রেসে যোগ দিয়ে বাপটু চক্রবর্তী জানিয়েছেন, "বিজেপির বি-টিমের মতো কাজ করছে তৃণমূল কংগ্রেস। অস্তিত্ব থাকবে না রাজ্যে। আমার আবেগের সঙ্গে কংগ্রেস জড়িয়ে আছে। আমি কংগ্রেস পরিবারে বেড়ে উঠেছি। আমি ২২ সেপ্টেম্বর যোগ দিয়েছিলাম তৃণমূলে। মাত্র ১১ মাসেই আমার মোহভঙ্গ হয়েছে। বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে এই রাজ্যে কংগ্রেসই পারবে।’’ সুদীপ রায় বর্মণের কংগ্রেসে যোগ দান। এর পর উপনির্বাচনে জিতে আসা ভাল প্রভাব ফেলেছে ত্রিপুরার অন্দরে ৷