সাম্প্রতিক সময়ে ত্রিপুরায় বিজেপি জোট ছেড়ে একাধিক নেতা এবং বিধায়করা অন্য দলে নাম লিখিয়ে চলেছেন। বিগত বছরের শেষ দিনে মেবার কুমার জমাতিয়ার ওপর অস্বস্তি ক্রমাগত বেড়ে চলেছিল। একদিকে যখন মন্ত্রিত্ব পদ থেকে বরখাস্ত করা হয় তাঁকে, আবার অপরদিকে দিল্লিতে একটি কেলেঙ্কারি মামলায় নাম জড়িয়ে পড়ে এই বিধায়কের।
advertisement
পুলিশের জেরার মুখেও পড়তে হয়। আর তারপর মেবার কুমারের পক্ষ থেকে বিজেপি জোটের সঙ্গ ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণায় শোরগোল সৃষ্টি করেছিল রাজ্য রাজনীতিতে। মেবার কুমার জমাতিয়াকে নিয়ে মোট পাঁচজন বিধায়ক শাসক জোট থেকে পদত্যাগ করেছেন। ইতিমধ্যে বিজেপি ছেড়েছেন সুদীপ রায় বর্মন এবং আশিস দাস। তাঁরা কংগ্রেসের যোগদান করেন আর অপরদিকে আইপিএফটি-র সঙ্গ ছেড়ে ত্রিপুরার বুকে নয়া দল তিপ্রামোথাতে যোগদান করেন বৃষকেতু এবং বুর্বমোহন ত্রিপুরা।
যদিও দলীয় বিধায়কদের পদত্যাগের কারণে দলের ওপর বিশেষ কোনো প্রভাব পড়বে না বলেই দাবি ছিল বিজেপি নেতৃত্বের। একইসঙ্গে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করে ত্রিপুরার বুকে বিজেপি একাই ক্ষমতায় আসবে বলেই মত বিজেপি শীর্ষ নেতাদের। ত্রিপুরা সম্পর্কে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বিধানসভা নির্বাচন যেখানে আর কয়েক দিন বাদে অনুষ্ঠিত হয়ে চলেছে, সেই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে শাসক জোট ত্যাগ করে একের পর এক বিধায়কের তিপ্রামোথা নামে নয়া দলে যোগদান ও জোট ত্যাগের কারনে ত্রিপুরা রাজ্য রাজনীতিতে বড়সড় বদল আসলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
বিশেষ করে স্বশাসিত পর্ষদের ভোটে যেভাবে মহারাজার দল ব্যাপক ফল করেছে। গত বিধানসভা ভোটে ত্রিপুরায় টানা পঁচিশ বছরের বাম শাসনের পরিবর্তন হয়। বাম জমানায় ত্রিপুরার উপজাতি স্বশাসিত পরিষদ ছিল সিপিআইএম-র শাখা উপজাতি গণমুক্তি পরিষদ নিয়ন্ত্রণে।
আরও পড়ুন, প্যান কার্ড নিয়ে আসছে নতুন নিয়ম! বাজেটে বড় ঘোষণার পথে মোদি সরকার
আরও পড়ুন, সিপিএমকে আমন্ত্রণ, ভারত জোড়ো যাত্রার সমাপ্তিতে কেন ব্রাত্য় তৃণমূল? ব্য়াখ্য়া দিলেন অধীর
গত নির্বাচনে সেখানেই আইপিএফটি বিপুল ভোটে জয়লাভ করে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে উপজাতি পরিষদের ক্ষমতায় আসে হয় তিপ্রামোথা। দ্রুত জমি হারায় আইপিএফটি। পরিস্থিতি এখন এমন যে তারা কার্যত অস্তিত্বের সংকটে পড়েছে। ফলে মহারাজের প্রস্তাব মেনেই তারা তিপ্রামোথায় মিশে গেলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না।