বিগত ৫ বছরের অধিক সময় ধরে এই কাজ করছে সরকার। সিপাহীজলা জেলার বিশালগড় মহকুমার গকুলনগরের উত্তমভক্ত চৌমুহনী এলাকায় থাকা গোরক্ষনাথ মন্দিরে আয়োজিত স্বেচ্ছা রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উৎসবের পুণ্য তিথিতে আয়োজিত এই সামাজিক কর্মসূচিতে উপস্থিত সকলকে সম্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা।
advertisement
আরও পড়ুন– যাত্রীদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ; বিমান যাত্রার উপর ১০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিচ্ছে ইন্ডিগো
উদ্বোধকের বক্তব্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রাচীনকাল থেকেই ভারতের কৃষ্টি ও সংস্কৃতির সঙ্গে আধ্যাত্মিকতার যোগসূত্র রয়েছে। আধ্যাত্মিকতার সংস্পর্শেই সুন্দর ও সুস্থ চেতনার বিকাশ ঘটে। এই পথই মানব সমাজের মঙ্গলের পথ। ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস রয়েছে সবার। সব জায়গাতেই ঈশ্বর বিরাজমান রয়েছেন। জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর – এই বিশ্বাসেই জীবনের সমস্ত ক্ষেত্রে এগিয়ে চলছে মানুষ।
আরও পড়ুন– ইতিমধ্যেই এসে গিয়েছে LoTA; চলতি বছর দু’টি এ৩৫০ বিমান চালু করতে চলেছে এয়ার ইন্ডিয়া
রাজ্যের কৃষ্টি সংস্কৃতি রক্ষায় খুবই আন্তরিক এই সরকার। রাজ্যের ধর্মপ্রাণ মানুষ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে চলছে। বছরে ১২ মাসে তেরো পার্বণ হয়ে থাকে। এর মধ্যে জন্মাষ্টমীও একটা অন্যতম। ২০১৮ সালে রাজ্যে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার আসার পর উৎসবের চিত্রটাও বদলে যায়। কারণ এই সরকার মানুষের ধর্মীয় ভাবাবেগকে সম্মান দিতে জানে। সেই দিশা নিয়েই কাজ করছে সরকার। এর পাশাপাশি রাজ্যে রক্তদানের প্রেক্ষাপট ও গুরুত্ব নিয়েও আলোচনা করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী রাজীব ভট্টাচার্য, কমলাসাগর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক অন্তরা সরকার দেব, সিপাহীজলা জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুপ্রিয়া দাস দত্ত, ত্রিপুরা শিল্প উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান নবাদল বণিক। পরে রক্তদান শিবির ঘুরে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য অতিথিগণ। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী এদিন গুরু গোরক্ষনাথ আশ্রমে পুজো দেন এবং রাজ্যবাসীর মঙ্গলকামনায় পূণ্য যজ্ঞে অংশ নেন। এদিকে সোনামুড়া মহকুমার গরুরবান্দ স্কুলটিলায় পাগলি মাসীর ১৩তম বাৎসরিক উৎসবে অংশ গ্রহণ করেন মুখ্যমন্ত্রী।