উদ্বোধকের বক্তব্যে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, ‘‘কৈলাশহরের জনগনের জন্য একটা আনন্দের মুহূর্ত। কিছুদিন আগে বিশালগড়ের পূর্ব লক্ষ্মীবিলে এলিমকো অক্সিলিয়ারি প্রডাকশন ইউনিটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও ভূমিপুজন অনুষ্ঠানে আমি গিয়েছি। উত্তর পূর্বাঞ্চলের মধ্যে প্রথম বারের মতো এই সেন্টারে কৃত্রিম অঙ্গ তৈরি করা হবে। আর এসব উপকরণ শুধু ত্রিপুরার জন্য নয়, উত্তর পূর্বের সব জায়গায় সরবরাহ করা হবে। এভাবেই আমাদের ত্রিপুরায় একটার পর একটা উন্নয়নের পালক যুক্ত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উত্তর পূর্বাঞ্চলকে আরও স্বনির্ভর করে তোলার উপর গুরুত্ব দিয়েছেন। আর সেদিনই আমি আগরতলায় মহকুমা শাসক কার্যালয়ের নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করি। অথচ বিরোধীরা নাকি আমাদের উন্নয়ন দেখতে পান না।’’
advertisement
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী বারবার বলছেন উত্তর পূর্বাঞ্চল যদি উন্নত না হয় তবে ভারতও উন্নত হবে না। সেই দিশায় কাজ করছেন তিনি। ২০১৮ নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী এসে বলে গিয়েছিলেন একবার ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার আপনারা এনে দিন, আমি আপনাদের হিরা মডেল দেব। আর সেই কথা রেখে আমাদের হিরা মডেল দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এর ফলে ত্রিপুরায় জাতীয় সড়ক, দ্রুতগতির ইন্টারনেট, রেলওয়ে, এয়ারওয়ের প্রভূত উন্নতি হয়েছে। আগরতলার এয়ারপোর্ট উত্তর পূর্বাঞ্চলের অন্যতম সুন্দর এয়ারপোর্ট হয়েছে। ত্রিপুরার মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মানিক্য বাহাদুরের নামে আমরা এয়ারপোর্টের নামকরণ করেছি। রাজ্যের উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে গেলে সঙ্গে সঙ্গে তারা অনুমোদন দিয়ে দেন। আমাদের ৬টি জাতীয় সড়কের কাজ প্রায় ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। আরও ৪টি জাতীয় সড়কের জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ডাবল ইঞ্জিন সরকার থাকার কারণেই প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব। উন্নয়নের জন্য শান্তি ও আইন শৃঙ্খলা স্বাভাবিক থাকা প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে উত্তর পূর্বাঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।’’