বিদেশে স্বপ্নের মতো মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে স্বপ্নভঙ্গ, স্বামীর সম্পর্কে কী এমন জানতে পারলেন যাতে ভেঙে পড়লেন নববধূ ! তারপর বাড়ি ফিরতেই যা ঘটল...
- Published by:Siddhartha Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
Noida Latest News: বিয়ের দিন কয়েক পরেই মরিশাসে মধুচন্দ্রিমায় যাওয়ার পরিকল্পনা করেন তাঁরা। পরিকল্পনা অনুযায়ী, মধুচন্দ্রিমায় নিজেদের গন্তব্যে পৌঁছেও গিয়েছিলেন তাঁরা। হোটেলও বুক করা ছিল। সব মিলিয়ে নবদম্পতির আনন্দ ছিল বাঁধভাঙা। কিন্তু রাত বাড়তেই স্বামীর কাছাকাছি যেতেই গিয়েই যেন স্বপ্নভঙ্গ হল নববধূর।
রীতিমতো ধুমধাম করে বিয়েটা হয়েছিল। পাত্র উত্তর প্রদেশের নয়ডার বাসিন্দা আর পাত্রী দাদরির বাসিন্দা। একে অপরের সঙ্গে সুখেই ঘরকন্না শুরু করেছিলেন। এদিকে বিয়ের দিন কয়েক পরেই মরিশাসে মধুচন্দ্রিমায় যাওয়ার পরিকল্পনা করেন তাঁরা। পরিকল্পনা অনুযায়ী, মধুচন্দ্রিমায় নিজেদের গন্তব্যে পৌঁছেও গিয়েছিলেন তাঁরা। হোটেলও বুক করা ছিল। সব মিলিয়ে নবদম্পতির আনন্দ ছিল বাঁধভাঙা। কিন্তু রাত বাড়তেই স্বামীর কাছাকাছি যেতেই গিয়েই যেন স্বপ্নভঙ্গ হল নববধূর। আসলে স্বামীর সঙ্গে শারীরিক মিলনের সময়ই তিনি জানতে পেরেছেন যে, তাঁর স্বামী শারীরিক ভাবে দুর্বল। Representative Image
advertisement
আর এই কথা টের পেয়েই আর মধুচন্দ্রিমা হয়নি। সটান নয়ডাতেই ফিরে এসেছেন ওই নববিবাহিত যুবতী। বাড়ি ফিরেই স্বামীকে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন পরীক্ষানিরীক্ষা করাতে। সমস্ত কিছু হওয়ার পর চিকিৎসক ওই বধূর স্বামীকে কিছু ওষুধ দিয়েছেন। কিন্তু এখন সমস্যাটা হল, এই ঘটনা জানাজানি হতেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন রীতিমতো অত্যাচার শুরু করেছে ওই নববধূর উপর। এমন অভিযোগ তুলেই আপাতত পুলিশের দ্বারস্থ তিনি। মহিলা থানায় মামলা দায়ের করে তিনি দাবি করেন যে, শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁকে মেরে ফেলার চেষ্টা করছে, এমনকী পণের জন্য চাপও দিচ্ছে। এখানেই শেষ নয়, ওই বধূর দাবি, তাঁর ভাসুরও বহু বার তাঁর উপর যৌন নিগ্রহের চেষ্টা চালাচ্ছেন। Representative Image
advertisement
অভিযোগে পুলিশের কাছে বধূ জানিয়েছেন যে, “২০২৩ সালে নয়ডার এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের সময় আমার মা-বাবা সাধ্যমতো শ্বশুরবাড়ির দাবি মতো পণের চাহিদা মিটিয়েছিলেন। এমনকী ঘরকন্নার প্রত্যেকটি প্রয়োজনীয় জিনিসও তাঁরা দিয়েছিলেন। কিন্তু বিয়ের পর আমার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা আরও পণ আনার জন্য আমায় চাপ দিচ্ছিল। যখন আমি ওদের দাবি মেটাতে পারিনি, তখন আমায় মারধর করতে শুরু করে। রোজকার অত্যাচারে আমিও বিরক্ত হয়ে গিয়েছি। এরপর আমি আমার স্বামীকে মধুচন্দ্রিমায় যাওয়ার প্রস্তাব দিই। আর তিনি রাজিও হন। কিন্তু সেখানে গিয়ে আমি জানতে পারি যে, আমার স্বামী শারীরিক ভাবে অক্ষম।” Representative Image
advertisement
আর মধুচন্দ্রিমা থেকে ফেরার পরেই ওই বধূ নিজের স্বামীকে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যান। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শুরু করেন। কিন্তু ওষুধ খাওয়ার পরিবর্তে তাঁর স্বামী আরও বেশি করে মদ্যপান করতে শুরু করেন। এদিকে স্বামীর এহেন সমস্যার কথা যাতে জানাজানি না হয়, তার জন্য বধূকে চাপ দিতে শুরু করে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। Representative Image
advertisement
শুধু তা-ই নয়, মধুচন্দ্রিমা থেকে ফেরার পর খরচের দোহাই দিয়ে ওই বধূর কাছ থেকে আরও পাঁচ লক্ষ টাকা দাবি করেছিল শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। কিন্তু সেই দাবি না মেটানোয় ফের শুরু হয় মারধর। এরপরেই বীতশ্রদ্ধ হয়ে নিজের মা-বাবার কাছে ফিরে যান ওই বধূ। এমনকী এ-ও অভিযোগ যে, আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করলে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দিচ্ছে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। বধূর অভিযোগের ভিত্তিতে বিভিন্ন ধারায় স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির ৬ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুরু হয়েছে তদন্তও। Representative Image