আরও পড়ুন- জল বাড়ছে, ডিভিসিকেই দুষলেন সেচমন্ত্রী, ‘রাত জাগা কর্মসূচি’-র ডাক মানস ভুঁইয়ার
রাষ্ট্রনির্মাণের কাজে নিয়োজিত শিক্ষকদের সম্মানিত করা হয়। তবে এবছর শিক্ষক দিবস উদযাপন সমারোহে বিশেষ কারণে উপস্থিত থাকতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী। তাই নিজের সরকারি বাসভবনে এবার শিক্ষকদের সম্মানিত করলেন তিনি।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, সুষ্ঠু ও নীতিনিষ্ঠ সমাজ নির্মাণে শিক্ষক শিক্ষিকাদের অসামান্য অবদান রয়েছে। তাই তাঁদের সকলের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করার পাশাপাশি অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। জাতীয় শিক্ষা নীতি সম্পর্কে ছাত্রছাত্রীদের সচেতন করার গুরুদায়িত্বও তাঁদের। বিশেষ করে এবিষয়ে যাবতীয় নীতি নির্দেশিকা সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের অবহিত করতে হবে। সমাজের বিশিষ্টজনদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন শিক্ষকগণ। সমাজকে সঠিক দিশা দেখাতে শিক্ষকদের ভূমিকা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। তাঁদের উপরই নির্ভর করছে আগামী দিনের ভবিষ্যত। ছাত্রছাত্রীরা যাতে ভাল ফলাফল করতে পারে সেদিকে অবশ্য নজর রাখতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুন– প্রাইজ পোস্টিং! বিনীত গোয়েলের বিরুদ্ধে আন্দোলন নিয়ে বড় হুঁশিয়ারি শমীকের
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, ‘‘রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নে রাজ্য সরকার খুবই আন্তরিক। শিক্ষা ক্ষেত্রে সবদিক দিয়ে উন্নত করতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষক সমস্যা দূর করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এর জন্য শূন্যপদগুলি পূরণ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার মিলিতভাবে কাজ করেছে। এর পাশাপাশি সকলেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। বন্যায় ত্রিপুরার তিনটি জেলা দক্ষিণ, গোমতী ও সিপাহীজলা জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বন্যায় শিক্ষা দফতরেরও অনেক ক্ষতি হয়েছে। এর জন্য শিক্ষা দফতরকে কিছু আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।’’