TRENDING:

Tripura News: ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ নিয়ে জোরদার প্রচার বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায়

Last Updated:

‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ প্রক্রিয়ায় অর্থনীতি ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা অনেক সুদৃঢ় হবে ৷ বললেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা ৷

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
আগরতলা: ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অর্থনীতির পাশাপাশি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাও অনেক সুদৃঢ় হবে। আর এই ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে আর্থিক ব্যবস্থা সমৃদ্ধির পাশাপাশি রাজনীতি ক্ষেত্রেও অনেক সুস্থিতি আসবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই প্রক্রিয়াকে খুবই গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন।আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে আয়োজিত ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ শীর্ষক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে একথা বলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা।
‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ নিয়ে জোরদার প্রচার বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায়
‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ নিয়ে জোরদার প্রচার বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায়
advertisement

আরও পড়ুন– ট্রেনের কামরায় টিকিট পরীক্ষা করছিল এক টিকিট পরীক্ষক, GRP হানা দিতেই শুরু হল দৌড়াদৌড়ি ! তারপর যা সামনে এল… স্তম্ভিত যাত্রীরাও

সভায় মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, ‘‘এক দেশ, এক নির্বাচন- সময়ের সঙ্গে খুবই প্রয়োজন। এটা খুবই একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা কিছুদিন আগেও জিএসটি নিয়ে কর্মশালা করেছিলাম। সেখানেও ব্যবসায়ীরা ছিলেন। সবক্ষেত্রেই ব্যবসায়ীদের একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দায়িত্ব গ্রহণের পর ব্যবসায়ীদের বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে তাঁদের সম্মান দেওয়া হয়। গতকাল,  গুয়াহাটির এক অনুষ্ঠানেও সেটা প্রত্যক্ষ করেছি। বিগত ৩৫ বছরের রাজত্বে বা তার আগে ব্যবসায়ীদের শ্রেণীকে শত্রু মনে করা হতো। আর আজ এই কার্যক্রমে ব্যবসায়ীদের ডাকার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে এক দেশ, এক নির্বাচন’ সম্পর্কে আরো সচেতন করা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কথায় কথায় নির্বাচন আসলে মনে হয় যে আবার নির্বাচন! প্রতি বছরই কোন না নির্বাচনের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। নির্বাচন যখনই হয় তখন বিভিন্ন স্কুলের মধ্যে নির্বাচনী প্রক্রিয়া হয়। এতে স্কুল বন্ধ থাকছে। সেক্ষেত্রে এক দেশ, এক নির্বাচন’ ভাবনা সঠিক হতে পারে। এতে ৫ বছরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই সময়টা অন্তত স্বস্তি। প্রতি বছর বছর নির্বাচন হলে বিভিন্ন সমস্যা। আর ৫ বছরে নির্বাচন হলে ভোটের হারও বাড়বে। এতে অনেক মানুষ ভোটদানে শামিল হবেন। এর মাধ্যমে অর্থনীতির পাশাপাশি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাও অনেক সুদৃঢ় হবে। আর এটা অবশ্য সময়ের দাবি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এনিয়ে বার বার চেষ্টা করছেন। ২০১৯-এ তিনি এবিষয়ে চেষ্টা করেছেন। কিন্তু এবার ২০২৪-এ তিনি এ বিষয়টি সংসদে নিয়ে আসেন। এর আগে কমিটিও গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটির রিপোর্টও (১৮,০০০ পৃষ্ঠা) জমা পড়েছে। কত পরিশ্রম করে কত কিছু চিন্তাভাবনা করে, সেই রিপোর্ট তৈরি করে পাঠানো হয়েছে।

advertisement

আরও পড়ুন– বিলাসবহুল গাড়িতে চেপে কোথাও একটা যেতেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা, সন্দেহের বশে পিছু নিয়ে সত্যিটা জানার পর মুখে যেন কথাই সরছে না চিকিৎসক নববধূর !

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

আলোচনা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘যখনই কোনও নির্বাচন হয় তখন নির্বাচন কমিশনের আধিকারিক থেকে শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী সহ অন্যান্যদের যুক্ত হতে হয়। আর এসব করতে গিয়ে সব জায়গাতেই বিরাট অঙ্কের অর্থ খরচ করতে হচ্ছে। ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ হলে আমাদের বেশকিছু ক্ষেত্রে সুবিধা হবে। অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অ্যান্ড ইকোনমিক এফিসিয়েন্সিতে আর্থিক খরচের পরিমাণ অনেক হ্রাস পাবে। শিক্ষক কর্মচারীদের সময় ব্যয়ের পরিমাণ অনেক কমে যাবে। উন্নয়নমূলক কাজে আরো গতি আসবে। বিশেষ করে নির্বাচনী প্রক্রিয়া জারি থাকলে কোড অফ কন্ডাক্টের কারণে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ফাইলে সই করা যায় না। এতে ফাইলের পর ফাইল জমা হয়ে যায়। ক্যাবিনেটেও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না। এতে সমস্যা হয় মানুষের। যেমন বিভিন্ন স্বশাসিত সংস্থার নির্বাচন, বিধানসভা নির্বাচন, লোকসভা নির্বাচন, ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন, পুরসভার নির্বাচন ইত্যাদি নির্বাচনের জন্য কাজের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হয়।’’

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
Tripura News: ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ নিয়ে জোরদার প্রচার বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায়
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল