এই লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা, শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের মন্ত্রী সান্তনা চাকমা, দপ্তরের রাষ্ট্র মন্ত্রী বৃষকেতু দেববর্মার উপস্থিতিতে স্বাক্ষর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ’’রাজ্যের জন্য সত্যিই একটি আনন্দের দিন। কারণ বৃত্তিমূলক শিক্ষার গুণমান বৃদ্ধির লক্ষ্যে রাজ্য সরকার, শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তর এবং টাটা টেকনোলজিস লিমিটেডের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।’’
advertisement
তিনি আরও বলেন, ‘‘বর্তমানে আমাদের ১৯টি আইটিআই রয়েছে, যেগুলিকে আধুনিকীকরণ করা হবে৷ অনেকদিন আগেই এই প্রতিষ্ঠানগুলিকে আপগ্রেড করা হয়েছিল। এই আইটিআইগুলিতে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মেকানিক্যাল কাজে নিয়োজিত থাকে। যারা স্নাতক হয়েছে তারা সর্বশেষ প্রযুক্তির সুযোগ পায় নি। তাই আমরা এইসব প্রতিষ্ঠানে অত্যাধুনিক পরিকাঠামো সংযুক্ত করতে চাই। বর্তমানে উন্নয়নের গতির সঙ্গে পাল্লা রেখে বিভিন্ন সেক্টরে প্রয়োজনীয় দক্ষতার সঙ্গে কম্পিউটারাইজড যন্ত্রপাতির একটা ব্যবধান ছিল। আজকের এই চুক্তি অনুযায়ী পরিকাঠামোগত উন্নয়নও করা হবে।’’
মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা আরও জানান, এই চুক্তি অনুসারে রাজ্যের ১৯টি আইটিআই এ প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তিগত উন্নীতকরণের জন্য প্রায় ৬৮৩.২৮ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে। যার মধ্যে ৫৭০.৪০ কোটি টাকা (৮৬%) বিনিয়োগ করবে টাটা টেকনোলজি এবং ১১২. ৮৭কোটি টাকা (১৪%) ব্যয় করবে রাজ্য সরকার।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তাদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও চান রাজ্য যেন কোনদিক দিয়ে পিছিয়ে না থাকে। আমরা সেই দিশায় কাজ করছি এবং টাটা টেকনোলজিসের সঙ্গে ক্রমাগত যোগাযোগ রেখে চলছি। তারা ৫ বছরের জন্য কাজ করবে। আমরা শিক্ষক প্রশিক্ষণের পাশাপাশি রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থাও রেখেছি। টাটা টেকনোলজিসের শিক্ষকরাও এতে যুক্ত থাকবেন।
আরও পড়ুন: ভিটামিন সি-র খনি! শীত পড়তেই দেদার খাচ্ছেন কমলালেবু? খুব সাবধান, উপকারী ফল থেকে দূরে থাকবেন কারা?
দক্ষ ব্যক্তির চাহিদা অনেক এবং আমাদের দেশের বৃহৎ যুব জনসংখ্যা আমাদের অন্যতম শক্তি। প্রযুক্তি ও দক্ষতা বিষয়ক উন্নয়নের মাধ্যমে এসকল কারিগরি প্রতিষ্ঠান এখন ছাত্রছাত্রীদের আকৃষ্ট করবে। এখানে আমরা অনেক কোর্সের ব্যবস্থা রেখেছি এবং এই উদ্যোগ শিল্প ক্ষেত্রকেও উৎসাহিত করবে।