রাজনৈতিক মহলে চাউর, কেন তৃণমূল এতটা জায়গা দখল করার সুযোগ পাচ্ছে, দলের তলায় কী ভাবে একটু একটু করে চিড় ধরছে, সাংগঠনিক দুর্বলতা কোথায় কোথায় রয়েছে - এই সব বিষয়টি খতিয়ে দেখতেই ত্রিপুরায় আসবেন এই তিন নেতা। পাশাপাশি অনেক বিজেপি বিধায়ক তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলে খবর। তাঁরা কারা, কেন তাদের মনবদল, তা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
advertisement
উল্লেখ্য আগামী কালই ত্রিপুরায় ফিরবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিকও। মন্ত্রী মনোনীত হওয়ার পর তিনি মাত্র একবারই ত্রিপুরায় এসেছিলেন আশীর্বাদ যাত্রা উপলক্ষে। সূত্রের খবর দলের তরফে তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ফণীন্দ্রনাথ শর্মা বিনোদ সরকার অজয় জামওয়াল এবং বিপ্লব দেবের সঙ্গে মন্ত্রিসভা রদবদল নিয়ে আলোচনার সারতে। আপাতত জোর আলোচনা মন্ত্রিসভায় কারা ঠাঁই পাচ্ছেন তাই নিয়েই।
মোট চারজন জায়গা পাবে নতুন মন্ত্রীসভায়। বিজেপি থেকে ৩ জন আর আইপিএফটি থেকে একজন জায়গা পাবে এই নতুন মন্ত্রীসভায়। শোনা যাচ্ছে ১৭ জন বিধায়কের মধ্যে বেছে নেওয়া হবে এই তিনজনকে। এখানেই প্রশ্ন, এই ত্রয়ী কারা!
এর আগে জুন মাসে ত্রিপুরা ঘুরে গিয়েছিলেন বিএল সন্তোষ, অজয় জামওয়াল, ফণীন্দ্রনাথ শর্মারা। সে সময়ে ছোট ছোট দল করে বিজেপির বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। সেই কথাবার্তার রিপোর্ট বিস্তারিতভাবে জমা পড়ে জে পি নাড্ডার কাছে। মনে করা হচ্ছে, এবার মন্ত্রিসভায় রদবদলে সেই রিপোর্টের ছায়া থাকবে। মুখে মুখে ঘুরছে সুদীপ রায়বর্মণের নাম। কারণ বিক্ষুব্ধদের মধ্যে শীর্ষস্থানীয় তিনিই। অথচ তাঁর লোকখ্য়াতি প্রশ্নাতীত। মাঝে দিল্লি সফরও সেরে এসেছেন তিনি। এই অবস্থায় কি সুদীপকে ফের স্বাস্থ্য দফতরের দায়িত্ব ফিরিয়ে দিয়ে ড্যামেজ কন্ট্রোল করবে দল, সেটাই দেখার।