ডুকলি কৃষি মহকুমার সেকেরকোট কৃষি আঞ্চলিক আধিকারিকের কার্যালয়ে কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দফতরের উদ্যোগে 'কৃষক জ্ঞানার্জন কেন্দ্র'-র দ্বারোদঘাটন ও কৃষকদের মধ্যে বিভিন্ন সহায়ক সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। তিনি বলেন, " আগে মানুষকে কথায় ভুলিয়ে রাখার সরকার আমরা দেখেছি। বর্তমানে রাজ্যে কাজের সরকার মানুষ দেখছে । বর্তমান সরকারের সময়ে এত কাজ হয়েছে তার উদ্বোধন করার সময় বার করা কঠিন হয়ে পড়ছে।"
advertisement
আরও পড়ুন: কেমন আছেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা? প্রতিটা মুহূর্তে কড়া নজরদারি ডাক্তারদের
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন , " রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনার মাধ্যমে প্রায় ৪৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এখানে নির্মিত 'কৃষক জ্ঞানার্জন কেন্দ্র' থেকে নিয়মিত পরামর্শ ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এলাকার কৃষকগণ বিশাল ভাবে উপকৃত হওয়ার সুযোগ পাবেন।" শুধু সেকেরকোটেই নয়, সারা রাজ্যে এমন ৮৩ টি জায়গায় কৃষকদের স্বার্থে জ্ঞান অর্জন কেন্দ্র গড়ার পরিকল্পনা রয়েছে কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দফতরের। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদিও কৃষকদের সার্বিক কল্যাণে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করছেন। কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: শয়ে শয়ে তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ, সভা থেকে ২০২৪-এর লক্ষ্যে অধীরের হুঙ্কার
ত্রিপুরায় ২০১৫-১৬ অর্থবছরে কৃষকদের গড় আয় যেখানে ছিল ৬,৫০০ টাকা, সেখানে বর্তমান সময়ে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৩ হাজার টাকার উপর। তিনি বলেন, আত্মনির্ভর ভারত ও আত্মনির্ভর ত্রিপুরা গড়তে কৃষকদের ভূমিকা অপরিসীম। ভারত মূলত কৃষি প্রধান দেশ। অর্থনীতির অন্যতম ভিত হচ্ছে কৃষি ব্যবস্থা। কৃষকদের সার্বিক উন্নয়ন হলেই, সমাজের উন্নয়ন ঘটবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে বর্তমান সরকারের সময়ে যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রেও প্রভুত উন্নতি হয়েছে । এখন আগরতলা থেকে নিয়মিত দূরপাল্লার ট্রেন চলাচল করছে। আগামীতে আগরতলা রেল স্টেশনকে আন্তর্জাতিক মানের মতো সাজিয়ে তোলা হবে। উত্তর পূর্বের মধ্যে অন্যতম সেরা বিমানবন্দর হিসেবে আগরতলা এমবিবি এয়ারপোর্টকে গড়ে তোলা হয়েছে।