এদিন মানিক সাহার সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করে রাজনাথ বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর মানিক সাহার নেতৃত্বে ত্রিপুরা বিকাশের লক্ষ্যে এগিয়ে চলছে। রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রেই উন্নয়ন হচ্ছে। আগে আগরতলার রাস্তাঘাট নোংরা আবর্জনায় মিশে থাকত। আর এখন সবই ঝকঝকে হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমানে ত্রিপুরার আইন শৃঙ্খলা ব্যবস্থা খুবই ভাল জায়গায় রয়েছে। আইন শৃঙ্খলা ব্যবস্থা সঠিক না থাকলে কোনও রাজ্যের বিকাশ সম্ভব নয়।"
advertisement
প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কথায়, "আগে ত্রিপুরায় অপহরণের ঘটনা, হত্যার ঘটনা লেগেই ছিল। সেই অবস্থা থেকে ত্রিপুরার মানুষকে মুক্তি দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি নেতৃত্বাধীন সরকার। কাজেই আসন্ন নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার নেতৃত্বে ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে এগিয়ে আসুন সকলেই।"
ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থীদের সমর্থনে আয়োজিত বিজয় সংকল্প জন সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। নিজের বক্তব্যের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করেন তিনি। মঞ্চে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত ভিভিআইপি মাইক্রোফোন থাকা সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রী যে মাইক্রোফোন দিয়ে জনতাকে সম্বোধন করেন সেটা দিয়েই আলোচনা শুরু করেন তিনি। বক্তব্যের শুরুতেই উপস্থিত অতিথিদের সম্বোধন করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহাকে একজন কর্মঠ, সৎ, নিষ্ঠাবান এবং সহজ সরল মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে উল্লেখ করেন। মানিক সাহাকে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়ে তিনি জানান মানিক সাহার নেতৃত্বে আবারও ত্রিপুরায় বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: সংসদে মোদি সরকারের তীব্র সমালোচনায় তৃণমূল, কথা বলতে দফায় দফায় বাধা মহুয়া মৈত্রকে
এদিনের জন সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন অসমের মন্ত্রী পীযূষ হাজারিকা, বাধারঘাটের বিদায়ী বিধায়ক মিমি মজুমদার, এই কেন্দ্রের বর্তমান প্রার্থী মীনা রানি সরকার, পশ্চিমবঙ্গের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, ভারতীয় জনতা পার্টির মণ্ডল সভাপতি কেশব নন্দন দত্ত, অসীম ভট্টাচার্য সহ অন্য নেতৃত্ব। কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, "বিগত ২০ বছর ধরে ত্রিপুরার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। এই রাজ্যের রাজনৈতিক এবং সামাজিক পরিস্থিতি সম্পর্কে যথেষ্ট ধ্যান ধারণা রয়েছে। একটা সময় ত্রিপুরাতে জঙ্গিদের দৌরাত্ম্য ছিল। এখন আর নেই। ভারতীয় জনতা পার্টি এই সমগ্র উত্তর পূর্বাঞ্চলের বিকাশে বিশেষ নজর দিয়েছে।"
কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেন, "ভারতীয় জনতা পার্টি এমন একটা রাজনৈতিক দল যেটা মানুষের সার্বিক বিকাশ ও কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। দেশ ও দেশের মানুষের ভাল করার চিন্তাভাবনা নিয়ে কাজ করছে এই দল। করোনা মহামারির সময়েও ভারত বিশ্বের অন্যান্য দেশকে দিশা দেখিয়েছে। বিনামূল্যে রেশন সামগ্রী বণ্টন করেছে মানুষের কাছে। আর এটা সম্ভব হয়েছে শুধু প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়। যে কারণে বিশ্ব ব্যাঙ্কও সেই সময় ভারতের প্রশংসা করেছে।"
সেই সঙ্গে সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মথার সুপ্রিমো প্রদ্যুতের সমালোচনাও করেন রাজনাথ সিং। প্রদ্যুৎ জনজাতি অংশের মানুষকে বিভ্রান্ত করেছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। কারণ, তাঁর দাবি, জনজাতিদের উন্নয়নের জন্য ভারতীয় জনতা পার্টির বিকল্প নেই। এবারের বাজেটেও জনজাতি উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ৮৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে বলে জানান কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী।