পরিসংখ্যান বলছে, পাঁচ বছর আগে ২০১৮ সালে ত্রিপুরায় ভোটদানের হার ছিল ৯১ শতাংশের বেশি৷ এবারের ভোটদানের হার গতবারের হারকে ছুঁতে বা ছাপিয়ে যায় কি না, সেটাই দেখার। ২০১৮-তে ফল বেরোতে দেখা গিয়েছিল, ২৫ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি৷ বিপুল ভোট দানের হার অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার দিকে যায় বলে মত দেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা৷ যা ক্ষমতা বদলের বড় ইঙ্গিত৷ ফলে ত্রিপুরার ক্ষেত্রে কী হয়, বিপুল ভোটদানের হার আসলে মানিক সাহা সরকারের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের ক্ষোভের ইঙ্গিত নাকি বিজেপি-র দাবি মতো সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচির প্রতি আস্থা প্রকাশ, তা জানা যাবে আগামী ২ মার্চ৷
advertisement
আরও পড়ুন: মোদির মাথায় 'রিশা'! ত্রিপুরা বিধানসভা ভোটের দিনই 'বিশেষ' পাগড়িতে প্রধানমন্ত্রী! নেপথ্যে বড় কারণ...
এ দিন সকালেই ট্যুইট করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ত্রিপুরার যুবসমাজকে ভোট দেওয়ার জন্য আহবান জানিয়েছিলেন৷ পাল্টা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার দাবি করেছিলেন, ত্রিপুরার যুবসমাজ বেরিয়ে এসে ভোট দিলেই সরকার বদল হবে৷
ত্রিপুরায় বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে কর্মসংস্থান তৈরি করতে না পারা সহ একাধিক প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে৷ তার পরেও বিজেপি-কেই এগিয়ে রাখছিলেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ৷ কিন্তু যেভাবে মানুষ সকাল থেকে ভোট গ্রহণ কেন্দ্রের বাইরে ভিড় জমিয়েছেন, তাতে বিজেপি নেতাদের কপালেও চিন্তার ভাঁজ পড়তে বাধ্য৷ সবথেকে বড় কথা, ত্রিপুরার আদিবাসী ভোট কোন দিকে যায়, তিপরামোথা কতখানি নির্ণায়ক শক্তি হয়ে উঠতে পারে, সেদিকেও নজর রয়েছে গোটা দেশের৷ একই সঙ্গে বাম কংগ্রেস জোটও বিজেপি-কে কতটা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারে, সেটাও দেখার৷
সব সর্বশেষ পড়ুন ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন 2023 এখানে খবর