ব্যস্ত দিনের শুরুতেই ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে যান অমিত শাহ। পুরোহিতের হাত থেকে ফুল নিয়ে পুজো দেন ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে। তারপরে সেখান থেকেই রওনা দেন তাঁর পরবর্তী দুই গন্তব্যের উদ্দেশ্যে।
এদিন, বিজেপির 'বিজয় সঙ্কল্প' যাত্রার দুটি সভা করেন শাহ। দুপুর ১২টায় সভা করেন চণ্ডীপুরে। চণ্ডীপুরের সভা থেকে ত্রিপুরার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে একের পর এক তোপ দাগতে দেখা যায় অমিত শাহকে। তবে প্রধানমন্ত্রীর মতোই, শাহের মুখেও উঠে আসেনি তৃণমূলের নাম। তাঁর আক্রমণের পুরোটাই সিপিএম এবং কংগ্রেসকে। বলেন, "ত্রিপুরার উন্নয়ন বামেরা করতে পারবেন না। ত্রিপুরার উন্নয়ন কংগ্রেসও করতে পারবে না। তিপ্রামোথা কিছুই করতে পারবে না।"
advertisement
শাহের কটাক্ষ, "বামেরা এতদিন কী করেছে? মানিক সরকার এতদিন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, কী করেছেন? এবার ওঁর দল ওঁকেই প্রার্থীই করল না। আর এখন আদিবাসী মুখকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নাম ঘোষণা করে দিচ্ছে। চা বাগান আর রাবার শ্রমিকরা জেনে রাখুন আপনাদের পাশে দাঁড়ানোর কাজ আমরাই করব।"
শাহের দাবি, ত্রিপুরার কথা যদি কেউ ভাবেন, তাঁর নাম নরেন্দ্র মোদি। ভবিষ্যতে ত্রিপুরার উন্নয়নে একাধিক প্রকল্প বাস্তবায়িত করার আশ্বাস দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। জানান, ত্রিপুরার সঙ্গে যোগাযোগ আরও সহজ করতে একটি বিমানবন্দর তৈরির কথা ভাবা হয়েছে। তাছাড়া, বাড়ানো হচ্ছে সড়কের সংখ্যাও।
চণ্ডীপুরের পাশাপাশি এদিন বেলা ২ টোয় বিশ্রামগঞ্জে সভা অমিত শাহর। শেষে যোগীন্দ্রপুরে একটি রোড শো করবেন তিনি।
আরও পডুন: বাম-কংগ্রেস জোট ক্ষমতায় আসলে কে হবেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী?
এবারের ত্রিপুরা নির্বাচেনে গেম চেঞ্জিং ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারে জনজাতির ভোট। ইতিমধ্যেই যার অধিকাংশই সমর্থন করছে ত্রিপুরার রাজা প্রদ্যোৎ মানিক্যের তিপ্রামোথাকে। এদিনের জনসভা জন্য তাই বিজেপি বেছে নিয়েছে একটি জনজাতি অধ্যুষিত এলাকা। অন্যদিকে, রোড শো-য়ের মাধ্যমে শহুরে ভোটারদেরও কাছে টানতে চাইছে বিজেপি।
আরও পডুন: 'তারকা' প্রচারক শুভেন্দু অধিকারীর ৪ সভা, ভিনরাজ্যে বঙ্গ নেতাদের গুরুত্ব বিজেপির!
গত শনিবারই ভোটমুখী ত্রিপুরায় প্রচার সেরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামিকাল, অর্থাৎ, সোমবার ফের ত্রিপুরায় সভা করার কথা তাঁর। এদিকে, আগামিকাল ত্রিপুরাতে সভা করতে চলেছেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও।
আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। ফলপ্রকাশ হবে ২ মার্চ।