কয়েক জন গ্রামবাসী মৃতদেহটি দেখে পুলিশকে খবর দেয়। তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা ,তা তদন্তের পরই বোঝা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, দেহে সম্পূর্ণ পচন ধরেছে, তা থেকে ধারণা করা হচ্ছে, কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েকদিন আগেই।
দশম শ্রেণির আদিবাসী ছাত্রী দুমকার আমবাজোরা গ্রামে তাঁর ঠাকুমা এবং ভাইবোনদের সঙ্গে দুমকার আমবাজোদা গ্রামে ভাড়া থাকতেন। রামকুমার মারান্ডি নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে প্রেম ছিল তাঁর। অভিযোগ, রামকুমার প্রায়ই তাঁদের বাড়িতে মেয়েটির সঙ্গে দেখা করতে যেতেন। এতে বিরক্ত হয়ে বাড়িওয়ালা মেয়েটির পরিবারকে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলেন। গত ২৬ সেপ্টেম্বর মেয়েটির বাবা দুমকা এসে বাড়িওয়ালাকে অনুরোধ করেন, মেয়ের দশম শ্রেণির পরীক্ষা হওয়া পর্যন্ত যেন তাঁদের থাকতে দেওয়া হয়।
advertisement
পরের দিন মেয়েটি বডতলা গ্রামে তাঁর আত্মীয়ের বাড়ি চলে যান। গত ৭ অক্টোবর নিজের বাড়ি ফেরার কথা বলে সেখান থেকে বেরিয়ে পড়েন। কিন্তু বাড়িতে পৌঁছন না। তারপরেই মেয়েকে খুঁজতে শুরু করেন পরিবারের লোকজন।
তার সন্ধান না পেয়ে ১০ অক্টোবর রামকুমার মারান্ডির সঙ্গে যোগাযোগ করে পরিবার। পর দিন থানায় মিসিং ডায়েরি করে তারা। বুধবার বডতলা গ্রামে একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় মেলে মেয়ের দেহ। খবর পেয়ে পরিবার ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।
পুলিশ আধিকারিকের কথায়, ''পুজোর ছুটিতে মেয়েটি তার মামার বাড়িতে থাকতে এসেছিল। গত ৭ অক্টোবর থেকে নিখোঁজ। তাও গত সন্ধ্যা পর্যন্ত তার পরিবার কোনও অভিযোগ করেনি। বুধবার সকালে, আমরা বডতলার একটি গাছ থেকে মেয়েটির দেহ উদ্ধার করেছি। এখানে প্রেমের সম্পর্কের ঘটনা রয়েছে বলে এটি হত্যা মামলা হিসাবে তদন্ত করছি।"
বিজেপি নেতা এবং প্রাক্তন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী লুইস মারান্ডি বলেছেন, ''গত কয়েক দিনে ক্রমাগত এমন ঘটনার খবর পাওয়া যাচ্ছে যা খুবই উদ্বেগজনক। গত তিন মাসে দুমকা জেলায় এটি চতুর্থ ঘটনা। এ বিষয়ে কঠোর আইন প্রণয়ন করা প্রয়োজন। না হলে আরও কত মেয়ে যে এমন ঘটনার সম্মুখীন হবে কে জানে।''