আরও পড়ুন- কোভিডে বেড়েছে নৈকট্য! সন্তান নয়, পোষ্যের অভিভাবক হতে চাইছেন অনেক মানুষই: সমীক্ষা
২১ মার্চ প্রকাশ হতে চলা ওই বিজ্ঞপ্তিতে রূপান্তরকামীদের জন্য ১৫০ টি পদ সংরক্ষিত থাকবে। সূত্রের খবর, যদি রূপান্তরকামীদের (Transgender Teachers) মধ্যে থেকে ১৫০ জন যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া যায় তবে অন্য বিভাগ থেকে যোগ্য প্রার্থীদের দিয়ে পদ পূরণ করা হবে।
advertisement
নিউজ ১৮ কে শিক্ষামন্ত্রী বি সি নাগেশ জানান, সরকার সকলকে সমানাধিকার দিতেই চায়। “আমাদেরকে ওদের সুযোগসুবিধা দিতে হবে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে আমরা রূপান্তরকামীদের জানাতে চাই, সকলের জন্যই চাকরির সুযোগ রয়েছে। যদি তারা পড়াশোনা করে বিভিন্ন পদের জন্য যোগ্য হয়ে ওঠেন তাহলে চাকরি হবেই। এতে তারা আর্থিকভাবে স্বনির্ভরও হবেন,” বলেন তিনি।
প্রার্থীরা (Transgender Teachers) যারা ইংরেজি, অঙ্ক, বিজ্ঞান এবং বায়োলজি ও সমাজবিদ্যা পড়াতে পারেন তারা ওই পদগুলির জন্য আবেদন করতে পারেন। আগামী ২১ ও ২২ মে প্রার্থীদের পরীক্ষাতে বসতে হবে।
আরও পড়ুন- বঙ্গবন্ধুকে পর্দায় আনছেন শ্যম বেনেগাল, মুজিবের চরিত্রে বাংলাদেশের আরিফিন শুভ!
রূপান্তরকামী সমাজকর্মী আক্কাই পদ্মশালী জানান, সরকারকে এই জাতীয় ঘোষণা এবং প্রতীকী সংরক্ষণ আরও বেশি করে করতে হবে। “রূপান্তরকামীদের মধ্যে শিক্ষার হার ০.১০%-এরও কম। এই ঘোষণায় রূপান্তরকামীদের বিশেষ কোনও উন্নতি হবে না। আমরা সমাজে যে যে সমস্যার সম্মুখীন হই, সরকারের উচিত সেই দিকগুলিতে আরও নজর দেওয়া। যেমন ধরুন, ম্যাজিস্ট্রেট অফিস থেকে আমাদের সামাজিক লিঙ্গের শংসাপত্র সংগ্রহ করতে যেতে হয়। সামাজিক লিঙ্গের দিক থেকে যে পুরুষ বা নারী, তাঁদের তো লিঙ্গ পরিচয়ের জন্য কোনও ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে যেতে হয় না। তাহলে আমাদের, রূপান্তরকামীদের কেন যেতে হবে?” প্রশ্ন তোলেন আক্কাই পদ্মশালী।
গতবছরের ডিসেম্বরে রূপান্তরকামীদে পুলিশে যোগদানের বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেয় কর্ণাটক পুলিশ। রিজার্ভ সাব ইন্সপেক্টর পদের ৭০ টি শূন্যপদে নিয়োগের জন্য রূপান্তরকামীদের ১% সংরক্ষণ রাখা হয়।