এদিকে, আগামিকাল সকালে সংসদভবনে মল্লিকার্জুন খাড়গের ঘরে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনার জন্য একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে। যদিও তৃণমূল সেই বৈঠকে যোগ দেবে কিনা তা এখনও স্থির করা হয়নি বলে জানানো হয়েছে তৃণমূলের তরফে (TMC on Suspension of MPs)।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের দেখানো পথেই বাকিরা? কংগ্রেসের বৈঠক এড়ালো জোটসঙ্গী শিবসেনাও
advertisement
গত বাদল অধিবেশনের শেষ দিন ১১ অগাস্ট অভিযুক্ত সাংসদদের বিরুদ্ধে অসংসদীয় আচরণের অভিযোগ তোলা হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সেদিনই রাজ্যসভায় ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ করার সময় অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তা ছেত্রী। ফলে তাঁকে শাস্তি দেওয়ায় ক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতৃত্ব।
সুখেন্দুশেখর রায় এই নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, "এই বিষয়টি কারও আগে থেকে জানা ছিল না। এমন কি, উপদেষ্টা কমিটিতেও এই নিয়ে কোনও আলোচনা করা হয়নি।" তিনি বলেন, "যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তা নিয়ে তদন্ত করা উচিত। চেয়ারম্যান একটি কমিটি তৈরি করে দিয়েছিলেন। কমিটি কী রিপোর্ট দিয়েছে আমরা জানি না। যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁদের কোনও সুযোগ দেওয়া হয়নি। এটা সংবিধানে দেওয়া ন্যায়ের অধিকার লঙ্ঘন।"
আরও পড়ুন: লক্ষ্য দিল্লি, সংবিধানে বদল আনছে তৃণমূল! ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে বড় সিদ্ধান্ত
তৃণমূলের দাবি, কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তাঁকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়াই সাংবিধানিক রীতি। এখানে কোনও সুযোগ না গিয়ে কর্তৃপক্ষ সংবিধানকে অসম্মান করেছে। সুখেন্দুশেখর বলেন, "এটা অগণতান্ত্রিক, বেআইনি, অসাংবিধানিক এবং অবৈধ।"
যে অভিযোগে তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে, সেই ঘটনার ভিডিও রেকর্ড প্রকাশ করারও দাবি জানিয়েছেন সুখেন্দুশেখর রায়। শিবসেনার সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদি টুইটারে লিখেছেন, "১২ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বিমা বিলে ক্ষতিগ্রস্ত লক্ষাধিক বিমা কর্মী, উপদেষ্টা কমিটিতে আলোচনা না করে বিল আনার বিরুদ্ধে এবং কৃষকদের পক্ষে ও বিজেপি-র অহংকারের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য।"