তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, রাজ্যকে আর্থিক ভাবে বঞ্চনা করছে মোদি সরকার। সেভ ডেমোক্র্যাসি পোস্টার হাতে স্লোগান দেন তৃণমূল সাংসদরা। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও'ব্রায়েন-সহ দলের লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসদরা। ধরনার পর সংবাদমাধ্যমে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "রাজ্যকে সম্পূর্ণ ভাবে অর্থনৈতিক অবরুদ্ধ করে বাংলাকে পুরোপুরি বঞ্চনা করা হচ্ছে। আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে, এখানে সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে যেভাবে হত্যা করা হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদ।"
advertisement
আরও পড়ুন: সামনেই ছিলেন মীনাক্ষী, সেখানেই পুলিশকে ঠাসিয়ে চড়! নিন্দার ঝড় উঠল সর্বত্র
তাঁর কথায়, "সারা দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র বিপন্ন। আমরা দেশবাসীকে বার্তা দিতে চাই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পথে নেমেছেন। তৃণমূল দেশের এই চরম সঙ্কট মূহুর্তে কখনও নীরব থাকবে না।" লোকসভায় ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ করেন তৃণমূল সাংসদরা। এদিকে, একই দাবিতে কলকাতায় ধরনায় বসেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই বিজেপির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন তিনি। ধরনা মঞ্চে আনা হয় ওয়াশিং মেশিন। যেখানে কালো কাপড় দিলে নাকি নিমেষে সেটা সাদা হয়ে যাচ্ছে। এমনকী নিজের হাতে কালো কাপড় সাদা করে দেখান মমতা।
আরও পড়ুন: লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের চাকরি বিক্রি! এবার নজরে প্রকাশ সাহা
সেখানে নিজে হাতে প্রতীকী ওয়াশিং মেশিনে কালো কাপড় দেন তিনি। তারপর প্রতীকী ওয়াশিং মেশিনের ভিতর থেকে বার করে আনেন সাদা কাপড়। দুর্নীতিগ্রস্তরা বিজেপিতে কলঙ্কমুক্ত হয়ে যাচ্ছেন, এটা বোঝাতেই ওই প্রতীকী ওয়াশিং মেশিন। তৃণমূলের অভিযোগ, নেতাদের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। আবার বিজেপিতে যোগ দিলেই তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি, সিপিআইএমকে তোপ দেগে তাঁর মন্তব্য, 'যত যা কাগজ বের হচ্ছে সব কো-অর্ডিনেশন কমিটির। গণশক্তিতে যাঁরা চাকরি করেন, তাঁদের স্ত্রীরা চাকরি পেয়েছেন শিক্ষকতায়। একবার খাতা খুলব? পেনশনটা নিয়ে নাড়াচাড়া করব? চাকরি আমি খাব না, চাকরি আমি দেব।'
রাজীব চক্রবর্তী