আরও পড়ুন : রাজভবনে রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক, কী নিয়ে আলোচনা? ট্যুইটে যা জানালেন ধনখড়
তৃণমূলের (TMC Parliament) বক্তব্য, যেভাবে কেন্দ্রীয় সরকার একের পর এক জনবিরোধী নীতি নিচ্ছে এবং তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ও জ্বালানির দাম বাড়াচ্ছে তার বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলন প্রয়োজন। সংবাদমাধ্যমে তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন," সারা দেশে যেভাবে পেট্রোল, ডিজেল এবং রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হওয়া উচিত। আমাদের দুর্ভাগ্য, লোকসভা বা রাজ্যসভায় মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা হল না। উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হল মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা হবে, তারপরেও আলোচনা হল না। সেই জন্য আমরা প্রতিবাদে সামিল হয়ে বলতে চাই, সরকার এব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিক এবং উদ্যোগ নিক।"
advertisement
তৃণমূলের (TMC Parliament) রাজ্যসভার সংসদ শান্তনু সেন বলেন, " পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের কারণে পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি স্থগিত ছিল। তারপর থেকে পেট্রোল, ডিজেল, কেরোসিন থেকে শুরু করে রান্নার গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ব্যাপকভাবে। আমরা মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সংসদে বারবার আলোচনার দাবি জানিয়েছি। কেন্দ্রীয় সরকার তাতে কর্ণপাত না করে গায়ের জোরে জনবিরোধী বিল পাশ করিয়েছে,।"
আরও পড়ুন : এও সম্ভব? ইনফোসিস-কর্তার কন্যা অক্ষতা মূর্তির ডোমেস্টিক ট্যাক্স মকুব করল ব্রিটেন সরকার!
একই সুর শোনা গিয়েছে কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীর গলাতেও। তিনি বলেন, "জনস্বার্থ নিয়ে আলোচনা করতে চেয়েছিলাম, যদিও তাতে কর্ণপাত করা হয়নি। যেহেতু মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সরকারের কাছে কোনও জবাব নেই, তারা সভা মুলতুবি করে দিল। সরকার জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির জন্য রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অজুহাত দিচ্ছে।"
আজই শেষ হল সংসদের বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব। সাংবাদিক বৈঠকে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা জানান, সবার সহযোগিতা এবং সমর্থনে সংসদে ভালো কাজ হয়েছে। এবারের অধিবেশনে ১২৯ শতাংশ কাজ হয়েছে বলে জানান ওম বিড়লা।