প্রসঙ্গত, গোবিন্দভোগ চালের ওপর ২০ শতাংশ রফতানি শুল্ক ধার্য করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। অপরূপা বলেন, আরামবাগের বিভিন্ন এলাকায় আতপ এবং গোবিন্দভোগ চালের উৎপাদন হয়। তাঁর কথায়, সারের দাম বিপুল পরিমাণে বৃদ্ধি হওয়ায় এমনিতেই চাপে রয়েছেন কৃষকরা। তাঁর মধ্যে ২০ শতাংশ রফতানি শুল্ক থাকায় চাষিরা লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছেন না। কেন্দ্রীয় সরকারকে বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করার আবেদন জানান তিনি।
advertisement
এবারে শীতকালীন অধিবেশনে বিষয়টি প্রথম তোলেন তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। বাজেটের অতিরিক্ত বরাদ্দ নিয়ে আলোচনায় একই দাবি তুলেছিলেন তিনি। তাঁর দাবি, গোবিন্দভোগ চালের খ্যাতি রয়েছে দেশজুড়ে। বাসমতি চালকে ২০ শতাংশ আমদানি শুল্কের বাইরে রাখা হয়েছে। অথচ কেন গোবিন্দভোগ চালের ক্ষেত্রে এই সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না, সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি।
সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, গোবিন্দভোগ চাল বাসমতি চালের থেকে কোনও অংশে কম নয়। অবিলম্বে গোবিন্দভোগ চালের ক্ষেত্রেই একই কর কাঠামো চালুর দাবি করেন তিনি। এরপর বুধবার ফের গোবিন্দ ভোগ চালের ওপর ধার্য করা রফতানি শুল্কের বিষয়টি তোলেন রাজ্যসভার তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ আবীর রঞ্জন বিশ্বাস। রাজ্যসভায় জিরো আওয়ারে বিষয়টি তোলেন তৃণমূল সাংসদ আবীররঞ্জন বিশ্বাস।
তিনি বলেন, এই চালের সঙ্গে ভগবান গোবিন্দের নাম জড়িয়ে রয়েছে। তাঁর কথায়, গোবিন্দভোগ চাল পশ্চিমবঙ্গের একটি সুগন্ধি খাদ্য সামগ্রী। এর জিআই ট্যাগ পেয়েছে বাংলা।
আরও পড়ুন, কলকাতা-জেলার আকাশে রহস্যময় আলো, কিসের আলো? উত্তর দিলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানী
আবীরের কথায়, "গোবিন্দভোগ চাল পশ্চিমবঙ্গের একটি সুগন্ধী চাল। ২০১৭ সালে এই চাল জিআই ট্যাগ পেয়েছে। গোবিন্দভোগ চাল থেকে অনেক সুস্বাদু খাবার তৈরি হয়। এটির সঙ্গে নাম জড়িয়ে রয়েছে দেবতা গোবিন্দের। ইউরোপ, তেল উৎপাদক দেশগুলিতে এই চাল রফতানি করা হয়।"
আরও পড়ুন, 'স্বৈরাচার অন্ধকার পরিস্থিতি!' মেডিক্যাল পড়ুয়াদের দাবিকে সমর্থন রাহুলের
তাঁর মতে, "রাজ্য সরকার এই চাল উৎপাদনের জন্য কৃষকদের উৎসাহিত করে। রাজ্যের নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় এই চালের চাষ হয়। অথচ এই চাল রফতানিতে কেন্দ্রীয় সরকার ২০ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছে। যার ফলে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।"