কিন্তু রাজনীতি অঙ্কের খেলা৷ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যায় সমীকরণ৷ তাই রাজ্য রাজনীতিতে যাই হোক না কেন, মণিপুর ইস্যুতে দিল্লিতে একজোট হয়ে বিক্ষোভ দেখালেন সেই বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, অধীররঞ্জন চৌধুরী সহ বিরোধী জোটের সাংসদরা৷
মণিপুর ইস্যুতে এ দিন সকাল থেকেই দিল্লিতে সংসদ ভবনের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিরোধী দলের সাংসদরা৷ বেঙ্গালুরুতে গঠিত ইন্ডিয়া জোটের শরিক অধিকাংশ দলের সাংসদরাই সেখানে উপস্থিত ছিলেন৷ মণিপুর ইস্যুতে সংসদে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বিবৃতি দিতে হবে, এই দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিরোধী দলের সাংসদরা৷
advertisement
এ দিনও মণিপুর ইস্যুতে উত্তাল হয়ে ওঠে লোকসভা এবং রাজ্যসভা৷ বিরোধীদের হইহট্টগোলে শেষ পর্যন্ত মুলতবি হয়ে যায় সংসদের দুই কক্ষই৷
বিরোধী দলগুলির বিক্ষোভে হাজির হয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ তিন মাস ধরে মণিপুর জ্বলছে৷ এ নিয়ে সরকারের কী অবস্থান তা স্পষ্ট করুক৷ মণিপুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কেন চুপ? কারণ সরকার মণিপুর নিয়ে আলোচনাই চায় না৷ মণিপুর থেকে নজর ঘোরানোর জন্য এখন বাংলা, বিহার, রাজস্থানে নারী নির্যাতনের কথা তোলা হচ্ছে৷ বাংলায় তো তিন মাস ধরে ইন্টারনেট বন্ধ রাখতে হয় না৷ মণিপুরে কেন বন্ধ রাখতে হচ্ছে? বাংলায় তো পরিস্থিতি স্বাভাবিক৷ যদি মণিপুরের অবস্থা বাংলার থেকে ভাল হয় তাহলে সেখানে ইন্টারনেট চালু করে দেওয়া হোক৷ ডবল ইঞ্জিনের সরকার শাসিত রাজ্যে তিন মাস ধরে ইন্টারনেট বন্ধ৷ অথচ সিঙ্গল ইঞ্জিনের সরকারের রাজ্যে তা চালু রয়েছে৷’
সিপিএম সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যও বলেন, ‘মণিপুরে যে ঘটনা ঘটেছে, তার সঙ্গে তো অন্য কোনও কিছুরই তুলনা চলে না৷’ অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, ‘শুরু থেকে আমরা বলে আসছি যে প্রধানমন্ত্রী সংসদে এসে মণিপুর নিয়ে বিবৃতি দিন৷ মোদিজি সংসদের বাইরে কথা না বলে সংসদে এসে মণিপুর নিয়ে বক্তব রাখুন৷’
এ দিকে বিরোধীদের পাল্টা এ দিন সংসদ ভবনের বাইরে পশ্চিমবঙ্গ এবং রাজস্থানের মতো বিরোধী শাসিত রাজ্যে নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি সাংসদরা৷ সবমিলিয়ে মণিপুর ইস্যুতে অচলই রইল সংসদের বাদল অধিবেশন৷