ত্রিপুরার রাজ্যপালের সঙ্গেও তৃণমূল প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ করার কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। তবে, ত্রিপুরার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে চিঠি দিয়েছেন রাজ্যপালকে। গত ২৩ অক্টোবর আমতলি বাজার এলাকায় যাঁরা তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা চালাল, তাঁদের নাম পুলিশকে জানানো সত্ত্বেও কেউ গ্রেফতার হয়নি বলে অভিযোগ তাঁর।
আরও পড়ুন: হৃদয়ের শহরের জন্য মোদির কাছে আর্জি বাবুলের! TMC-র হয়েও একই গন্তব্য? জল্পনা...
দিনকয়েক আগেই ‘ত্রিপুরার জন্য তৃণমূল’ কর্মসূচি শুরু করছে ঘাসফুল শিবির। সুস্মিতা দেবের অভিযোগ, ‘ত্রিপুরার জন্য তৃণমূল’ কর্মসূচিতে তৃণমূল নেতাকর্মীরা মানুষের কাছে ঠিকই পৌঁছে যাবেন। পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী ভাবে উন্নয়ন কর্মসূচি চালাচ্ছেন, সেটা ত্রিপুরার মানুষকে বোঝাতে হবে। আর সেই কারণেই ভয় পেয়ে এই হামলা চালাচ্ছে BJP। ওই কর্মসূচি শুরু হওয়ার দিনই সুস্মিতা দেবদের উপর হামলা চলে বলে অভিযোগ।
২০২৩ -এর বিধানসভা ভোটের দু’বছর আগে থেকেই উত্তর-পূর্বের রাজ্য ত্রিপুরায় সক্রিয়তা তুঙ্গে বাড়িয়েছে তৃণমূল। একাধিকবার ত্রিপুরায় গেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এবার আবার ত্রিপুরা যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁর, তার আগেই তৃণমূল নেতাদের উপর একের পর এক হামলা চলছে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের উপর।
আরও পড়ুন: প্রশিক্ষণ ছাড়া আর ট্রেকিংয়ে গিয়ে মৃত্যু নয়, আয়কর আবাসনে তৈরি হল ইকো অ্যাডভেঞ্চার ক্যাম্প
তৃণমূলের উপর পরপর হামলার নিন্দা করেছে বামেরা। ২৫ নভেম্বর পুরভোট হবে ত্রিপুরায়। বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করে তৈরি কংগ্রেসও। ৬০ আসন বিশিষ্ট ত্রিপুরা বিধানসভার সব আসনে প্রার্থী দেবে কংগ্রেস। একাই লড়বে তারা। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের সক্রিয়তা আলাদা করে নজর কাড়ছে রাজনৈতিক মহলের।