বিরোধীদের বক্তব্য এর দায় নিতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যদিও বউবাজার বিপর্যয়কাণ্ডে এবার তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের মন্তব্য নিয়েও তৈরি হয়েছে বিতর্ক। তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা তথা দমদমের সাংসদ জানিয়েছেন, '‘কয়েকটা বাড়ি ভেঙে পড়লে প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়া যায় না। কোথাও বড় প্রকল্প হলে কিছু কিছু সমস্যা হয়। কোথাও প্রযুক্তিগত ত্রুটি থাকতে পারে। আমি আশাবাদী মেট্রো সমস্যার সমাধান করবে।"
advertisement
আরও পড়ুন: শিবপুরে শৈলেশের দুই ফ্ল্যাটে ৮ কোটি, সঙ্গে আর কী কী উদ্ধার? জানালো পুলিশ
যদিও এই ঘটনা নিয়ে সুর চড়িয়েছেন বিরোধীরা। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, "কিছু প্রোমোটারকে খুশি করার জন্য মেট্রোর নকশায় পরিবর্তন করেছিলেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তার ফল ভোগ করতে হচ্ছে।"
একই সুর দিলীপ ঘোষের গলায়। তিনি বলেন, "ক্ষতিপূরণ দিয়ে পাপের প্রায়শ্চিত্য করছেন মুখ্যমন্ত্রী। ওঁর জন্যই বউবাজারের এই অবস্থা। আক্রমণ বিজেপি সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের।"
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর সুড়ঙ্গে জল ঢুকে যাওয়ায় বউবাজারে ফের বিপদ ঘনিয়ে এসেছে। ফের নিজের ঘর ছেড়ে হোটেলের আশ্রয়ে শতাধিক মানুষ। ফের সেই অনিশ্চয়তার মধ্যে তাদের যাতায়াত। এ দিকে এই দুর্গা পিতুরি লেন এবং মদন দত্ত লেনের ঠিক মাঝেই রাজনীতিবিদ তাপস রায়ের বাড়ি। বারবার মেট্রোর কাজের ফলে এলাকায় বিপত্তি নেমে আসায়, কাজের পদ্ধতি নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: 'খুবই কষ্টের, খুবই বেদনার', পরিবার নিয়ে তুমুল আতঙ্কে তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়!
বারবার ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজে বিপর্যয় নামছে? গলদ কোথায়? তা নিয়েই গত তিন দিন ধরে চলছে দোষারোপের পালা। রুট পরিবর্তনের জেরে বারবার বিপর্যয়....না কি অন্য কোনও কারণ, তা নিয়ে শাসক-বিরোধী চাপানউতোর জারি আছে।
অন্যদিকে স্থানীয় সাংসদ সুদীপ বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছেন, "এখানে তো একটা টানেল হয়েছে। তার মানে এখানে কাজ করা যে অসম্ভব এমনটা নয়৷ মেট্রোর নির্মাণকারী সংস্থা যথাযথ ভাবে নজর দিচ্ছেন না। এর ফলে বারবার এই অঞ্চলে সমস্যা তৈরি হচ্ছে।" প্রসঙ্গত, প্রকল্প নির্মাণকারী সংস্থা গত সাড়ে তিন বছর ধরে তাহলে কী করল? এই নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।