আগরতলা: বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও দিনভর ত্রিপুরা পুলিশ ও প্রশাসনের ওপর চাপ বাড়াল তৃণমুল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল। থানা থেকে রাজভবন— সর্বত্র তথ্য-প্রমাণ দিয়ে দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানানো হল। বুধবার ডিজি-র সঙ্গে দেখা করেছিলেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার প্রথমেই তৃণমুলের ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল যায় আগরতলা থানায়। সেtmcখানে এসিপি-র সঙ্গে দেখা করে তৃণমূলের সদর দফতরে ভাঙচুরে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়। সেইসঙ্গে অতীতে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অন্যান্য নেতা-নেত্রীকে আক্রমণের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়।
advertisement
প্রতিনিধি দলের তরফে আগেই ত্রিপুরার রাজ্যপালের কাছে দেখা করার সময় চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি দিল্লি চলে যাওয়ায় তাঁর সচিব শ্রী চাকমার কাছে সমস্ত দাবিসনদ দেন প্রতিমা মণ্ডল, কুণাল ঘোষ, সায়নী ঘোষ, সুস্মিতা দেব, বীরবাহা হাঁসদা ও সুদীপ রাহারা। এরপর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিনিধি দলের সদস্য ও তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘আমরা ডিজির সঙ্গে কথা বলার পর থানায় তথ্যপ্রমাণ-সহ সব জমা দিয়েছি। আশা করি প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নেবে। পুরোনো আক্রমণের বিষয়গুলোও আমরা তুলেছি। ব্যবস্থা চেয়েছি।’’
কুণাল জানান, যে বা যারা পার্টি অফিস ভেঙেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়াও, আগরতলা ও ত্রিপুরা জুড়ে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। বিজেপিকে কটাক্ষ করে কুণাল ঘোষ বলেন, ত্রিপুরার নেতারা বহাল তবিয়তে বাংলাতে ঘুরে বেড়ান। যে-বিপ্লব দেবের আমলে তৃণমূলের ওপর চরম আক্রমণ নেমে এসেছিল তিনি তো বাংলাতে দলের মঞ্চ থেকে বিয়ে বাড়ি ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কই কেউ তো কিছু বলছে না! কিন্তু এখানে তৃণমূলকে দেখলে বিজেপির প্যানিক হয়। মনে রাখতে হবে, তৃণমূল কংগ্রেস ত্রিপুরায় প্রাসঙ্গিক বলেই বারবার আঘাত নেমে আসে। ত্রিপুরার মানুষকে ধন্যবাদ তাঁরা আমাদের নানাভাবে তথ্য-প্রমাণ-ভিডিও দিয়ে সাহায্য করছেন। এদিন সন্ধ্যায় কলকাতা ফেরেন তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।’’