ভারতীয় সেনার জঙ্গি নিধনের জবাবে পাকসেনা টার্গেট করেছিল জম্মু-কাশ্মীরের সাধারণ মানুষকে। বুধবারই শ্রীনগরে পৌঁছেছেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা৷ দলে রয়েছেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, সাগরিকা ঘোষ, নাদিমুল হক, মমতাবালা ঠাকুর ও রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া।
শ্রীনগরে তাঁদের অভ্যর্থনা জানিয়েছেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ। দীর্ঘ ৯০ মিনিট ওমর আবদুল্লার সঙ্গে বৈঠক করেছেন তৃণমূল সদস্যরা। পাক হামলায় উপত্যকার কোথায়, কত মানুষ মারা গিয়েছেন এবং সীমান্তের জীবনযাপনে দৈনন্দিন সমস্যা নিয়ে তাঁদের বিস্তারিত জানিয়েছেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী।
advertisement
আরও পড়ুন: এত অমানবিক পাকিস্তান! নির্মম কাজ…প্রাণ যেতে পারত ২০০ বিমানযাত্রীর, ভয়ঙ্কর বিষয়
পাক গোলাগুলিতে উপত্যকার পুঞ্চ, রাজৌরির মতো সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রাণ হারিয়েছেন প্রচুর নিরস্ত্র আমজনতা। সীমান্তের গ্রামগুলিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঘরবাড়ি, ধর্মীয় উপাসনালয়, স্কুল-হাসপাতাল। সমাজমাধ্যমেই সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের গোলাগুলিতে পুঞ্চ ও তাংধারে ১৫ জন সাধারণ মানুষ নিহত এবং ৪৩ জন আহত হয়েছেন।
পাকিস্তানের এই বর্বোরোচিত হামলায় যেভাবে সীমান্ত এলাকার সকল সম্প্রদায়ের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তার তীব্র নিন্দা করেছেন তৃণমূল প্রতিনিধিরা। বৃহস্পতিবার নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সমবেদনা জানাতে ও তাঁদের ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে জানতে পুঞ্চ গিয়েছেন তৃণমূলের সাংসদ-মন্ত্রীরা। আগামিকাল অর্থাৎ শুক্রবার তাঁরা যাবেন রাজৌরি।
আরও পড়ুন : এবার খাস বারাণসীতেই পাক চর!…৬০০ পাকিস্তানির সঙ্গে যোগাযোগ, রহস্য বাড়াচ্ছে এক মহিলাও
এদিন পুঞ্চ রওনা হওয়ার আগে ভিডিও বার্তায় সাংসদ সাগরিকা ঘোষ জানিয়েছেন, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিহামলার চেয়ে পাক গোলাগুলিতে পুঞ্চ, রাজৌরিতে অনেক বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন। প্রত্যেক জীবনেরই মূল্য রয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, সীমান্ত এলাকায় মৃতদের পরিবারগুলির জন্য সরকারের তরফে সবরকম ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ক্ষতিপূরণ দেওয়া, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া থেকে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর, স্কুল-কলেজের পুনর্নিমাণে বিপর্যস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়াচ্ছে জম্মু-কাশ্মীরের সরকার। কিন্তু ওমর আবদুল্লাহর নির্বাচিত সরকারকে এইসবের জন্য পূর্ণ ক্ষমতা দেওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি। তৃণমূল কংগ্রেস গণতন্ত্রে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয় বিশ্বাস করে।
জম্মু-কাশ্মীরের যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোতে মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর সরকারে কাজ করার অধিকার নিয়ে পর্যালোচনা করা উচিত।