তিরুপতি মন্দিরে ঘি সরবরাহ করল ভোলেবাবা ডেয়ারি নামের একটি বেসরকারি সংস্থা৷ সেই সংস্থার ডিরেক্টর পমিল জৈন এবং বিপিন জৈনের সঙ্গে বহু বছর ধরেই কাজ করত এই অজয়৷ সেই ওই ফার্মে নকল ঘি তৈরির রাসায়নিক সরবরাহ করত৷
বিশেষ তদন্তকারী দলের গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, ওই ব্যবসায়ী যে সমস্ত রাসায়নিক সরবরাহ করত, তার মধ্যে ছিল মনোগ্লিসারাইডস, অ্যাসেটিক অ্যাসিড এবং এস্টারস সরবরাহ করত, যা পাম ওয়েল তৈরিতে কাজে লাগে৷ এই সমস্ত রাসায়নিকই দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আনা হত এবং দিল্লি বেসড নেটওয়ার্কে সরবরাহ করা হত৷ কেনা হত অজয়কুমারের নামে, বেচা হত ডেয়ারির তরফ থেকে৷
advertisement
আরও পড়ুন: ‘বিহার স্টার্টআপ চায়, ‘হ্যান্ডস আপ’ নয়’, নির্বাচনী সভায় গিয়ে RJD-কে একহাত মোদির
তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, পাম ওয়েল এবং কেমিক্যাল ব্যবহার করে যে ঘি তৈরি করা হত, তা একেবারে আসল ঘিয়ের মতো দেখতে,সুগন্ধও একরকম৷ যা ‘বৈষ্ণবী’ এবং ‘এ আর ডেয়ারি’ শীর্ষক নামে বিক্রি হত৷ পরে এই ঘি-ই প্রস্তুত হয় পবিত্র তিরুপতির মন্দিরে৷
বিশেষ তদন্তকারী দল তদন্তে জানতে পেরেছে, ওই ডেয়ারির সরবরাহ করা ৯০ শতাংশ ঘি-তেই পাম ওয়েল এবং রাসায়নিক অ্যাডিটিভ ব্যবহার করা হত৷ ফরেন্সিক পরীক্ষাতেও রাসায়নিকের ভরপুর ব্যবহারের সন্ধান পাওয়ার গিয়েছে৷
২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রথম এই দুর্নীতির কথা প্রকাশ্যে আসে৷ সেই সময় পূর্ববর্তী সরকারের বিরুদ্ধে তিরুপতি মন্দিরে নকল ঘি ব্যবহারের করানোর অভিযোগ তোলেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নায়ডু৷ অভিযোগ ঘিরে দ্রুত জনমানসে প্রতিক্রিয়া ছড়ায়৷ শুরু হয় তদন্ত৷
অজয় কুমারকে দিল্লিকে ৩ দিন রাখা হয়েছিল, তারপরে তিরপতির সিট অফিসে নিয়ে আসা হয় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য৷ এই জালিয়াতি সংক্রান্ত নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে অভিযুক্ত ব্যবসায়ীর কাছ থেকে৷
