নরেন্দ্র মোদির বিজয় রথ রুখতে, দখিনা হাওয়া কি ২০১৯-এ ঝড় হবে? মঞ্চ তৈরি করে দিয়েছে কর্ণাটক। কংগ্রেস-জেডিএস জোটের মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে বুধবার শপথ নেবেন H D কুমারস্বামী। তার ২৪ ঘণ্টা আগে দিল্লিতে সোনিয়া ও রাহুলের সঙ্গে ছাড়াও বিএসপি সুপ্রিমো মায়াবতীর সঙ্গেও দেখা করেন কুমারস্বামী ৷
দলীয় সূত্রে খবর, এদিন রাহুল-সোনিয়ার সঙ্গে কুমারস্বামীর বৈঠকের পর কর্ণাটকে দুই উপ-মুখ্যমন্ত্রী পদ তৈরির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে ৷ উপমুখ্যমন্ত্রী করা হতে পারে কর্ণাটকের কংগ্রেস সভাপতি, দলিত নেতা, জি পরমেশ্বরকে। ৩৩ জনের মন্ত্রীসভায় ২০টি পদ পেতে পারে কংগ্রেস ৷
advertisement
আরও পড়ুন
কবে থেকে বেতন বাড়ছে সরকারি কর্মচারীদের ? ইঙ্গিত দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
কর্ণাটকে শপথ নেওয়ার অপেক্ষায় জোট সরকার। বুধবার শপথের বাইরে নজর মোদি বিরোধী জোটের দিকেও। বেঙ্গালুরুর কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে একমঞ্চে থাকছেন মোদি বিরোধী সব দলের শীর্ষনেতৃত্ব। ফেডেরাল ফ্রন্টের সম্ভাব্য সব দলকে আগামীকাল দেখা যাবে শপথ সভায় ৷ সেই অনুষ্ঠান মঞ্চেই দেখা যাবে মোদি বিরোধীদের শক্তি প্রদর্শন। থাকবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমন্ত্রিত সোনিয়া গান্ধি, রাহুল গান্ধিও। এছাড়াও মন্ত্রীদের তালিকায় রয়েছেন বহুজন সমাজ পার্টির মায়াবতী, সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু ও তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের মতো বিজেপি বিরোধীরা।
বিরোধীরা যখন কর্ণাটককে সামনে রেখে মোদি বিরোধী মঞ্চ গড়তে কোমর বেঁধেছে, তখন পাল্টা বিজেপিও সেই জোটে ফাটল ধরাতে তৎপর। আর তাই সতর্ক কংগ্রেস। ইয়েদুরাপ্পা সংখ্যা জোগাড় করতে না পেরে জোর ধাক্কা খেয়েছেন। কিন্তু, না আঁচালে বিশ্বাস নেই। তাই, বেঙ্গালুরুর কাছে একটি হোটেলেই দলের সব বিধায়কদের রেখে দিয়েছে কংগ্রেস। এদিকে, কংগ্রেস-জেডিএসের মন্ত্রিসভা কীরকম হবে তা নিয়েও দুই শিবিরের মধ্যে দফায় দফায় চলছে আলোচনা।